জনসভায় ‘ভারত মাতা কী জয়’ বলে বক্তব্য শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বলেন, ‘এই জনসমুদ্র দেখতে পাচ্ছেন দিদি? এটা বিজেপির জনজোয়ার।
উপস্থিত মানুষের উদ্দেশ্যে মোদী বলেন, ‘আপনারা যে যেখানে ভোট দেবেন, সেটা সরাসরি মোদীর খাতে যাবে। তাতে মোদী সরকারের হাত ফের শক্ত হবে। দেশের ভিত মজবুত করার জন্য মজবুত সরকার চাই। যতদিন গুণ্ডা, তোলাবাজিদের মাথার উপর দিদির (মমতা) হাত থাকবে, ততদিন বাংলার উন্নতি হবে না। ’
তিনি বলেন, মানবপাচার নিয়ে কঠোন আইন এনেছে কেন্দ্র। বিজেপি ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গে তা যথাযথ প্রয়োগ সুনিশ্চিত করা হবে। ফোনে বিনামূল্যে কথা বলা যাবে। ইন্টারনেট সবচেয়ে সস্তা হয়ে যাবে।
‘‘সারদা-রোজভ্যালির সব অর্থ লুঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সব হিসেব নেবে এই চৌকিদার। ‘রোজ’ বললে মানুষ ফুলের কথা মনে করে, কিন্তু এখানে ‘রোজ’ মানে ‘কাঁটা’। ’’
সারদা চিট ফান্ডের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের স্ত্রী, মা সারদাকে সারাদেশ পুজো করে। কিন্তু দিদি বাংলায় ‘সারদা’ কেলেঙ্কারি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলায় কেন যুবকদের চাকরি হচ্ছে না? পশ্চিমবঙ্গের ‘স্পিড ব্রেকার দিদি’ রাতে ঘুমোতে পারছেন না। দিদিকে 'সবক' শেখানোর জন্য পশ্চিমবাংলায় কমল তথা পদ্ম ফুটবেই, যত বেশি পদ্ম ফুটবে ততই জবাব পাবে।
‘‘দিদির জন্য এ রাজ্যের কৃষকেরা কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত। মানুষের ভরসাতেও 'স্পিড ব্রেকার' লাগিয়ে দিয়েছেন দিদি। ’’
মোদী বলেন, পশ্চিমবাংলায় পিসি-ভাইপোর জুটি দুর্নীতি, তোলাবাজি, গুণ্ডামি চলছে। সবার ভরসা ভেঙে দিয়েছেন দিদি।
আগামী ৮ এপ্রিল কোচবিহার জেলার এই রাসমেলা ময়দানে জনসভা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব মেলে কি-না, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
ভিএস/এমএ