আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উপকূলবর্তী এলাকায় কাঁচা ও বেড়ার বাড়িগুলি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হতে পারে বলে। ক্ষতি হবে পাকা বাড়িরও।
ফণীর কারণে ক্ষতির মুখে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের রাস্তাঘাট ও শস্যক্ষেত বা ফসলি জমি।
২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলা রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল। ঠিক সেই রকম ক্ষয়ক্ষতির সাক্ষী হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ।
আইলার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১১২ কিলোমিটার। সে তুলনায় ফণীর গতিবেগ অনেক বেশি। ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার গতিতে ফণী পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বোঝাই যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আইলাকেও ছাপাবে ফণী।
কলকাতা পৌরসভার তরফে সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে যাতে সবাইকে ২৪ ঘণ্টা ফোনে পাওয়া যায়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আটকাতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আটটি দল মোতায়েন করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের দীঘা, মন্দারমুনি প্রভৃতি সমুদ্রতটের কাছাকাছি থাকা পর্যটকরা বৃহস্পতিবারের মধ্যে এলাকা ছেড়েছে। শুক্র ও শনিবার সরকারি ঘোষণায় স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে রাজ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
ভিএস/এএ