এ দিন ফণীর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয় বৃষ্টি। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় তিলোত্তমা কলকাতা ভিজতে শুরু করে বৃষ্টিতে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, যতো বেলা এগোবে, পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির তীব্রতা ততো বাড়বে। আর তার মধ্যেই আছড়ে পড়বে ফণী। এছাড়া বৃষ্টি শুধু শহর কলকাতাতেই নয়, আছড়ে পড়েছে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনাসহ একাধিক জায়গায়। ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গে প্রভাব দেখাতে শুরু করবে ফণী।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঝড়ের তীব্রতা পশ্চিমবঙ্গে বেশি সময় না থাকলেও দাপট থাকবে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার (০৪ মে) সকাল পর্যন্ত। ফলে এই দাপট ঝড়ের দাপটের থেকে কোনো অংশে কম নয়। এই দাপটে ক্ষতি হবে ফসলসহ মৌসুমী ফলের।
পাশাশাশি ক্ষতির মুখে পড়বে মাটির বাড়ি ও পুরানো পাকা ঘর। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে রাজ্যে বিকেল থেকেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্ক বার্তা জারি আছে।
আবহাওয়া দফতরের সতর্ক বার্তার পর কলকাতার হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে নামানো হয়েছে হোডিং ব্যানার। পাশাপাশি বিল্ডিংগুলোর উপরের তলার মানুষকে নামিয়ে আনা হয়েছে। ব্যবস্থা করা হচ্ছে জাম্পিং নেট ও ট্রি কাটারের। কলকাতা পৌরসভার বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষিত কর্মীকে ইতোমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
ইতোমধ্যে কলকাতায় ট্রামসহ ১০৩টি এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ আছে। এছাড়া সকাল থেকেই দেখা নেই লোকাল ট্রেনেরও। বন্ধ যানবাহনও। এবার বিকেলে ফণীর আঘাত হানার অতঙ্কে কলকাতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
বিএস/টিএ