শনিবার (৮ জুন) জামাইষষ্ঠীর দিন এবারও কলকাতার বাজারে পাওয়া যাবে মিয়ানমারের ইলিশ। পাশাপাশি, হিমঘরে থাকা এ রাজ্যে উৎপাদিত ছোট ইলিশও পাওয়া যাবে যথেষ্ট পরিমাণে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য মৎস্য দফতর ও রাজ্যের ফিশ ইম্পোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (হিলসা) সূত্র বলছে, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার পদ্মার ইলিশ পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের তৎকালীন মৎস্যমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ ইলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবু, পদ্মার ইলিশ এখনও সীমান্ত পেরোয়নি।
তাই উৎসবের সময় ইলিশের জোগানে যাতে ঘাটতি না পড়ে, তার জন্য আগে থেকেই তৈরি ছিলেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
গত বর্ষায় রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা ও মেদিনীপুর জেলার দীঘা উপকূলে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়েছিল। তা এখনও হিমঘরে মজুত আছে। এছাড়া, মিয়ানমার থেকেও বড় ইলিশ আমদানি করা হয়েছে।
ফিশ ইম্পোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (হিলসা) সভাপতি অতুল চন্দ্র জানিয়েছেন, জামাইষষ্ঠীর দিন মিয়ানমার ও রাজ্যের মিলিয়ে হিমঘর থেকে প্রায় দেড়শ’ টন ইলিশ বাজারে বের হবে।
মিয়ানমারের ইলিশগুলোর ওজন এক থেকে দেড় কেজি ও পশ্চিমবঙ্গের ইলিশের ওজন ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম। পাইকারি হিসাবে, মাছের ওজন যত গ্রাম, দাম তত রুপি। অর্থাৎ ৫০০ গ্রাম মাছের দাম ৫০০ রুপি, এক কেজি হলে এক হাজার রুপি। তবে, খুচরা বাজারে দাম আরও বাড়বে।
এদিকে, ইলিশের পাশাপাশি এবার জামাইষষ্ঠীতে পাবদা, ভেটকি, রুই, কাতলা মাছেরও পর্যাপ্ত জোগান থাকবে বলে জানিয়েছেন হাওড়ার ব্যবসায়ীরা। রাজ্যের মাছের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ থেকেও প্রচুর রুই-কাতলা বাজারে ঢুকছে। বড় সাইজের রুই মাছ পাইকারি বাজারে ১২০ থেকে ১৬০ রুপির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
পাবদা মাছ পাইকারি বাজারে ৪০০ থেকে ৫০০ রুপি, ভেটকি ৬০০ থেকে ৭০০ রুপি ও বাগদা চিংড়ির দাম ৪০০ থেকে ৭০০ রুপি পর্যন্ত রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৯
ভিএস/একে