ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

পশ্চিমবঙ্গে পর্যটক কমেছে জঙ্গলে, বাড়ছে পাহাড়ে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
পশ্চিমবঙ্গে পর্যটক কমেছে জঙ্গলে, বাড়ছে পাহাড়ে

কলকাতা: একেই বলে, ‘কারও পৌষমাস, কারও সর্বনাশ!’ চলতি মৌসুমে পাহাড়ে পর্যটক বাড়লেও পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলে অর্থাৎ ডুয়ার্সে প্রায় পর্যটকশূন্য। 

এমন উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন সেখানকার ট্যুর অপারেটররা। তারা বলছেন, পুজো থেকে যে পর্যটন মৌসুম শুরু হয় এখনও পর্যন্ত পর্যটকের সংখ্যা ছিল গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

তাদের মতে, ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্রগুলো নিয়ে প্রচারের অভাব আছে। এছাড়া ডুয়ার্স সংলগ্ন সামসিতে পর্যটকদের জন্য ভুটানের যাওয়ার পারমিট সেন্টার না থাকা এবং গরুমারায় টিকিটের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়াসহ একাধিক কারণে এবার পর্যটকেরা আর ডুয়ার্সমুখী হননি।

দার্জিলিং টু মিরিকের আঁকা-আঁকা রাস্তা।  ছবি: আসিফ আজিজ/বাংলানিউজতবে কার্সিয়াং-কালিপং অর্থাৎ পাহাড়ের সমস্ত হোটেল এমনকি হোমস্টে- সহ হোটেলগুলো আগে-ভাগে থেকেই বুকিং হয়ে গেছে। কিন্তু ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে সেভাবে পর্যটকদের দেখা মেলেনি ফলে হতাশ এ অঞ্চলের পর্যটন ব্যবসায়ীরা।  

পর্যটন সংক্রান্ত সমস্যাগুলো যদি না মেটানো যায় তাহলে এই এলাকায় একেবারে পর্যটকশূন্য হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

গরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক সোনা সরকার বলেন, ‘এবারে আমাদের এখানে ভিড় একেবারেই কম ছিল। গতবার যে সংখ্যক ট্যুরিস্ট এসেছিলেন এবছর তার তুলনায় অর্ধেকেরও কম এসেছেন এখানে। ’

ওই অঞ্চলের লাটাগুড়ি রিসোর্টস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, ‘এবার উত্তরবঙ্গে আসার ট্রেনের সব টিকিটই ছিল বুকড। অথচ আমাদের এখানে পর্যটকরা নামলই না। সমস্ত পর্যটক এবার পাহাড়ে চলে গিয়েছেন। বুঝতেই পারছি ডুয়ার্সে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর কথা সেভাবে এবার প্রচার হয়নি। এছাড়া সামসিতে পর্যটকদের জন্য ভুটানের যাওয়ার পারমিট সেন্টার নেই। পাশাপাশি গরুমারা জঙ্গলে টিকিটের দাম বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে এবার ডুয়ার্সমুখী হননি পর্যটকেরা। ’

ডুয়ার্স পর্যটন এলাকা।  ছবি: সংগৃহীত গরুমারার জঙ্গলের সাফারিকে কেন্দ্র করে ভালোই পর্যটন ব্যবসা চলে। টিকিট কেটে সাফারিতে জঙ্গলে যান পর্যটকরা। সেখানে গন্ডার, হাতি, বাইসন, হরিণসহ নানা ধরনের জীবজন্তু দেখা যায়। দুইবছর আগেও একটি গাড়িতে ছয়জন করে গেলে টিকিট কেটে গাড়ি ভাড়াসহ মোট খরচ পড়ত দেড় হাজার রুপি। সেই খরচ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার রুপি।  

এছাড়া পাশেই প্রতিবেশী দেশ ভুটান। কিন্তু পর্যটকেরা চাইলেও সহজে যেতে পারেন না। কারণ সামসিতে ভুটানে বেড়াতে যাওয়ার পারমিট সেন্টার নেই।  

তবে ডুয়ার্সের সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র পাহাড়ে। এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে, পাহাড় অঞ্চলে যত হোমস্টে, হোটেল এবং লজ রয়েছে, পুজোর দিনগুলিতে সব ভর্তি ছিল। এতটা ভিড় হবে তারা আশাও করিনি। এখনও ওই অঞ্চলের চাহিদা তুঙ্গে। কিন্তু এবছর এখনও অব্দি জঙ্গল থেকে মুখ ফিরিয়ে আছেন পর্যটকেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
ভিএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।