ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে বিজয় উৎসব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে বিজয় উৎসব

কলকাতা: কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বিজয় উৎসব শুরু করেছে। এর আগে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সরকারের বশ্যতা স্বীকার করে প্রথম পতাকা উত্তোলন হয় এই মিশনে। এখানেই ১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বর চার দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজয় উৎসব ২০১৯’ আয়োজন করেছে।

 

এদিন উপ-দূতাবাস প্রধান তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে বিকেলে বিজয়ের উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. গওহর রিজভী বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যের পেছনে ভারতের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি মূলত ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের আগেই বঙ্গবন্ধু জানতে পারেন পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া আমাদের গত্যন্তর নেই এবং বাংলাদেশের ছেলেদের প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে পাঠান। কীভাবে ভারত সরকার তাদের সাহায্য করেছিল সেটি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।  

তিনি আরও বলেন, সে সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি কোনো রকম সাহায্য না করার ব্যাপারে ভারতকে চাপ দেয়। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পিছু না হটে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের এক কোটি মানুষের আশ্রয় ও খাবার দিয়ে যে সাহায্য করেছে তা ভুলবার নয়।    

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে গওহর রিজভী বলেন, সিএবি ও এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যদি ভারত সরকার প্রমাণ করতে পারে কোনো বাংলাদেশি, তাহলে সে সব মানুষকে আমরা ফেরত নেবো। কিন্তু তার আগে প্রমাণ করতে হবে তারা বাংলাদেশি।  

তিনি আরও বলেন, কয়েকটি ছোট ছোট বিক্ষিপ্ত বিষয় নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হবে না।

আব্দুর রশিদ বলেন, ভারতীয় যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত এবং যারা ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ এর সদস্য তারা আমাদের পরম বন্ধু। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক ধ্বংস করার জন্য যারা ছিল তারা সফল হয়নি। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সর্বদা অটুট থাকবে।  

এছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মুধর সম্পর্ক ফিরে এসেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর। বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য আমাদের সরকার দিন-রাত পরিশ্রম ও সহযোগিতা করে চলেছে।  

বাংলাদেশের বিজয় উৎসবে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ২৫০টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশের উন্নয়নভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। চারদিনের বিজয় উৎসব প্রতিদিন স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে।

জমজমাট আয়োজনে বিজয় উৎসবের প্রথমদিনে উপ-দূতাবাসের পরিবারের অংশগ্রহণে সমবেত সঙ্গীত পরিবেশনা এবং অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদি, অদিতি মহসিন, মো. আব্দুল হালিম খান। আবৃত্তি করেন আহকাম উল্লাহ। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন আহকাম উল্লাহ ও শারমিন লাকি।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
ভিএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।