বর্তমানে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি ফের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
২০২০ সালে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন ২০২১ সালে। তাই দিল্লিতে ১৩ জানুয়ারি মিলিত হচ্ছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এতে নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের একজোট করার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু সেবার একসঙ্গে লড়াই তো দূর, ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি করে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি তারা।
তবে এবার এনআরসি ও সিএএ বিরোধীদের ফের কাছাকাছি আনতে শুরু করেছে। আর সেটাই কাজে লাগিয়ে ১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে এক হচ্ছেন তারা। এই জোটের মমতার পাশে থাকবেন মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি ও সিএএ কার্যকর করতে দেবেন না। একই সুর শোনা গেছে ভারতের অ-বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের কণ্ঠেও। তাই দেশ যখন এনআরসি-সিএএ বিরোধিতায় উত্তাল, তখন সেই হাওয়া কাজে লাগিয়ে মোদী সরকারকে চাপে ফেলতে চাইছেন মমতাসহ বিজেপি-বিরোধীরা।
১৩ জানুয়ারির বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সোনিয়া বা রাহুল গান্ধী, বিএসপির মায়াবতী এবং সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবরা উপস্থিত থাকতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৭০টির মধ্যে ৬৭টি আসন পেয়েছিল আম আদমি পার্টি। সেবার একটাও আসন পায়নি কংগ্রেস, বিজেপি পেয়েছিল মাত্র তিনটি। তবে এবারের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ভিন্ন। তবে বিরোধীরা নাগরিকত্ব আইন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলার মতো ইস্যুগুলোকে নির্বাচনে বেশি করে প্রচারে আনতে পারে।
দিল্লির বিধানসভার নির্বাচন গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপিও। তাদের ইস্যু হতে পারে তিন তালাক আইন, নাগরিকত্ব আইন, অযোধ্যা মামলা নিষ্পত্তির মতো বিষয়গুলো।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়েছেন, দিল্লিতে এবার ভোটগ্রহণ হবে ৭০টি কেন্দ্রের ১৩ হাজার ৭৫০টি বুথে। ভোট দেবেন ১ কোটি ৪৬ লাখ মানুষ। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে জারি হয়ে যাচ্ছে আদর্শ আচরণবিধি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ জানুয়ারি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
ভিএস/একে