ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মোদীর অনুষ্ঠানে আসন ভরাতে চিন্তার ভাঁজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
মোদীর অনুষ্ঠানে আসন ভরাতে চিন্তার ভাঁজ

কলকাতা: দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো কলকাতা আসছেন নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১২ জানুয়ারি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ওই অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে একই মঞ্চে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানকে সফল করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন কর্তৃপক্ষ। কোনোভাবেই অনুষ্ঠানে দর্শক আসন খালি রাখা যাবে না।

আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের কপালে। সাধারণত নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দর্শক আসন প্রায় ১২ হাজার। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য স্টেডিয়ামের প্রায় অর্ধেক আসন এমনিতেই খালি রাখতে হবে। তারপরেও স্টেডিয়ামের বাকি অংশ ভরানোর জন্য কম করে পাঁচ থেকে ছয় হাজার দর্শক লাগবে।

সেক্ষেত্রে কলকাতা বন্দরের মোট কর্মী সংখ্যা সবমিলিয়ে হাজার তিনেক। তার মধ্যে খুব বেশি হলে হাজার দেড়েক কর্মী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবে। কারণ বন্দরের কাজকর্ম কোনো সময়ের জন্য বন্ধ রাখা যায় না। সব কর্মচারী একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে বন্দরের কাজকর্ম পুরোপুরি থমকে যাবে। আর সে কারণেই প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে কীভাবে দর্শক আসন ভরাবে তাই নিয়ে চিন্তিত বন্দরের শীর্ষস্থানীয় কর্তারা।

বন্দরের এক কর্তা বলেন, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের কাজ কোনো সময়ের জন্য বন্ধ থাকে না। সেজন্য সবাই একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গেলে বন্দরের কাজকর্ম পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যাবে। সেটা হলে রাজ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। তাই ঠিক হয়েছে সেদিন যাদের ডিউটি থাকবে না, শুধুমাত্র তারাই প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবেন।

এমনিতেই কলকাতা বন্দরের কাজকর্ম কমে যাওয়ায় কর্মচারীর সংখ্যাও আগের থেকে অনেক কমে গেছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আসন ভরানোর জন্য হলদিয়া বন্দরসহ কলকাতা শিপিং করপোরেশন অব ইন্ডিয়া, ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়া এবং ড্রেজিং করপোরেশন অব ইন্ডিয়ার মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মীদের অনুষ্ঠানে হাজির থাকার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

উপস্থিত দর্শকদের জন্য থাকবে সকালে নাস্তাসহ লাঞ্চ। এমনকী থাকছে যাতায়াতের বন্দোবস্তো। তাতেও যেন কোনোভাবেই চিন্তা কাটছে না আয়োজকদের। কারণ ওইদিন রোববার অর্থাৎ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে শেষ পর্যন্ত কতোজন কর্মী সেখানে উপস্থিত হবেন সেই হিসেব চিন্তিত রাখছে উদ্যোক্তাদের।

এ প্রসঙ্গে কলকাতা বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা বিমান মিস্ত্রি বলেন, অনুষ্ঠানের আসন ভরাতে আমার মতো অনেককেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বন্দরের কর্মী দিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ভরানো সম্ভব হবে না বুঝেই বাইরের লোকদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমন্ত্রণপত্রও ছাপানো হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ওই দাওয়াতের একটা বড় অংশই কেন্দ্রের শাসকদল তথা বিজেপি নেতাদের হাতেই যাবে। তারাই হয়তো আসন ভরাতে সাহায্য করবেন। যেহেতু অনুষ্ঠানটি পুরোপুরি কেন্দ্রীয় সরকারের তাই এ নিয়ে রাজ্য সরকারের সেভাবে উদ্যোগও নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০৩১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
ভিএস/ডিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।