এদিন মেঘলা আকাশের কারণে দিনের তাপমাত্রা কমলেও তাতে শীত ফেরার আশা নেই বলে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জানান আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
শহর থেকে শীতের অনুভূতি চলে গেছে বেশ কয়েকদিন হলো।
তবে চলতি মৌসুমে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে কিছুদিন অন্তরই বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর তা দিয়েই এতদিন শীত দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতে। যেখানে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়কেই শীতের জন্য আদর্শ হিসেবে ধরে নেয় আবহাওয়া অফিস, সেখানে ঘন ঘন বৃষ্টি বাড়িয়ে দিয়েছিল ঠাণ্ডার অনুভূতি।
বুধবারও হাল্কা ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কয়েকটি জায়গায় এদিন বিকেলের পর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে হালকা বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের কারণে এদিন সর্বোচ্চ পারদ নামিয়ে দিয়েছে কিছুটা। যেখানে সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে মঙ্গলবার তা আছে ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি। ফলে বসন্তের পরশে শীতের আমেজে ভরপুর কলকাতা। এদিনও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আছে ১৯ থেকে ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মঙ্গলবারের পাশাপাশি আগামীকাল অর্থাৎ বুধবারও সকালের দিকে রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলোয় কয়েকটি জায়গায় হালকা বৃষ্টি হবে। তবে তুলনায় বৃষ্টি বাড়বে উত্তরের জেলাগুলিতে। তা হচ্ছে মূলত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে মতো জেলাগুলোতে। সকালের দিকে উত্তরবঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।
সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তার জেরে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প উঠে আসছে স্থলভূমিতে। ওই ঘূর্ণাবর্ত জলীয়বাষ্প টেনে নেওয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পূবালি বাতাস ও উপর থেকে আসা পশ্চিমী বায়ুর সঙ্গে সংঘাতেই আঞ্চলিক মেঘ সঞ্চারিত হয়েছে এবং বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
ভিএস/এএ