সোমবার (০২ মার্চ) রাতে আচমকাই নিজের টুইটার আইডির মাধ্যমে এমন ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
ঘোষণায় বলেছেন, আগামী রোববার আমার ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার কথা ভাবছি।
ঘোষণা আসা মাত্রই গোটা ভারতে আলোড়ন পড়ে যায়। কারণ নরেন্দ্র মোদীর সামজিক মাধ্যমে সরব উপস্থিতি এবং তার ফ্যান-ফলোয়ারের সংখ্যা আন্তর্জাতিক মহলের কাছেও নিরন্তর চর্চার বিষয়। স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেছিলেন, ‘মিস্টার মোদী আমার পরেই সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। ’ সেই মোদী কি-না এমন কথা ভাবছেন!
২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী মোদী সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই মাধ্যমেই তিনি গোটা ভারতের যুবসমাজের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন নিখুঁত উপস্থাপনায়। একইসঙ্গে ক্রমাগত তিনি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে উপস্থিতি বাড়িয়েছিলেন।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাঁচ কোটি টুইটার ফলোয়ার, তিন কোটি ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার এবং চার কোটির বেশি ফেসবুক ফ্যান-ফলোয়ার আছে। যা বিশ্বের খুব কম সেলেব্রিটির রয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাটিতে লাখ লাখ লাইক পড়ছে। হাজার হাজার কমেন্ট আসছে। ‘নো স্যার, নো স্যার’! করছেন অনেকে। আবার প্রশ্নও করেছেন অনেক, ‘হোয়াই স্যার?’
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পাল্টা টুইটে বলেছেন, ‘ঘৃণার রাজনীতি ত্যাগ করুন। সোশ্যাল মিডিয়া ত্যাগ করতে হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
বিএস/টিএ