ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

ভারত

কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ৪৯ বছর পূর্তি উদযাপন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৯ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২০
কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ৪৯ বছর পূর্তি উদযাপন 

কলকাতা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ৮৯ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস।

শনিবার (৭ মার্চ) উপ-দূতাবাসের বাংলাদেশ গ্যালারি কক্ষে ইউনেস্কো স্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ  উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মুজিব শতবর্ষের প্রাক্কালে এ অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌমিক বন্দোপাধ্যায়, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক পঙ্কজ সাহা, বাংলাদেশের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান বিএম জামাল হোসেন ও কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) শেখ শফিউল ইমাম।

এদিন সভাপতির বক্তব্যে উপ-দূতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতাতিন্ত্রক মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িকতা ও মুক্তিযুদ্ধের কৌশল সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন।  সেই মোতাবেকই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে।

সাংবাদিক পঙ্কজ সাহা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কথা রেকর্ড করার জন্য আমি দমদম বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলাম, তখন জানলাম তিনি তার দেশের জনগণের সঙ্গে আগে দেখা করবেন, তারপর কলকাতায় আসবেন। একজন দেশদরদী মহান নেতার আদর্শ এমনই হওয়া উচিত, যা বঙ্গবন্ধু করেছেন।

আলোচনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌমিক বন্দোপাধ্যায় বলেন, বাঙালির লক্ষ্য স্থির রাখার জন্য যে ধরণের বার্তা দেওয়া প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে তার দেশের জনগণকে খুব গভীরভাবে সেটাই দিয়েছিলেন। তার অসাধারণ নেতৃত্বের কারণে মাত্র ৯ মাসে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।

চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের মানচিত্র বদলে দিয়েছিল। এ দিন গণতান্ত্রিক চিন্তাধারায় নিমজ্জিত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সব নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছিলেন।

আলোচনার শুরুর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর উপ-দূতাবাসের কাউন্সেলর (কন্স্যুলার) মো. বশির উদ্দিন ৭ই মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বাণী ও প্রথম সচিব (প্রেস) মো. মোফাকখারুল ইকবাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শোনান।

এদিন সব শেষে সতীনাথ মুখোপাধ্যায় ও মুনমুন মুখার্জি কবিতা পাঠ করে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাসদেশ উপ-দূতাবাসসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) সানজিদা জেসমিন।

বাংলাদেশ সময়: ০৫০৯ ঘণ্টা, ০৮ মার্চ, ২০২০
ভিএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।