১৬ তারিখের শেষলগ্নে ১৭ মার্চের শুরুতে অর্থাৎ স্থানীয় সময় ঘড়ির কাঁটা যখন শুন্য-শুন্য তখন উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে আতশবাজির প্রদর্শন করা হয়। এরপর বিশাল আকৃতির কেক কেটে উৎসবের সূচনা করেন উপ-হাইকমিশন প্রধান তৌফিক হাসান।
কেক কাটা শেষে তৌফিক হাসান বলেন, বিদেশের মাটিতে এই মিশনই ছিল বাংলাদেশের প্রথম মিশন। সেই মিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমি উপ-হাইকমিশন প্রধান হিসেবে দিনটির সাক্ষী থাকতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করেছি।
তিনি আরও বলেন, কলকাতায় ১৭ মার্চ থেকে শুরু করে পরপর তিনদিন জমকালো অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ছিল আমাদের। কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনা যে মহামারির আকার নিয়েছে তাতে আমাদের ১৮ ও ১৯ তারিখের অনুষ্ঠান সাময়িকভাবে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু গোটা বছরই মুজিববর্ষ উদযাপন করা হবে, সে কারণে ভবিষ্যতে আমরা সুবিধাজনক সময় অনুষ্ঠানগুলো করবো।
এছাড়া দিনটি উপলেক্ষে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠের মধ্য দিয়ে দিনের কার্য়ক্রম শুরু হবে। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন উপদূতাবাসের কর্মকর্তা, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কলকাতায় বসবাসকারী সব বঙ্গবন্ধু প্রেমী ব্যক্তিরা।
এরপর বিকেলে উপ-হাইকমিশন প্রধান তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন রাজ্যের দুইমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভদেব চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকবেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য়্য সুখরঞ্জন দাসসহ অনেকে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ধারাভাষ্য শিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় অংশ নেবেন গায়ক অঞ্জন দত্ত, আকাশ সেনসহ কলকাতায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
এর আগে ১ মার্চ উপ-হাইকমিশনের সব কর্তারা কলকাতা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
এনটি