এজন্য ওই অঞ্চলের ৬০টি বাড়িকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সব বাড়ির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাড়ি পিছু দেড় লাখ রুপি করে দেবে রাজ্য সরকার।
সুন্দরবনে পর্যটন শিল্পকে আরও উন্নত করতে রাজ্য সরকারের পর্যটন ও বন দপ্তরের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের যৌথভাবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটন দপ্তরের কর্তাদের আশা, ‘হোম স্টে’র মাধ্যমে সুন্দরবনে পর্যটন আরও চাঙ্গা হবে। পাল্টে যাবে সেখানকার মানুষের জীবন জীবিকা।
চলমান করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ফলে সুন্দরবনের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ‘হোম-স্টে’ প্রকল্প তাকে পুনরুদ্ধার করতে পারে বলে মনে করছে সরকার। এর জেরে সাধারণ মানুষের হাতে বাড়তি অর্থ আসবে। কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে এলাকায়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ঝড়খালির বিভিন্ন এলাকা থেকে ‘হোম স্টে’র জন্য ৯০টি আবেদন জমা পড়েছিল। সেগুলো ভালো করে পরীক্ষা করা হয়। চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পায় ৬০টি বাড়ি। পর্যটকদের জন্য সেই সব বাড়ি বাসযোগ্য করে তুলতে সরকারি সাহায্য দেওয়া হবে।
কিন্তু সেগুলোতে থাকতে গেলে কেমন ভাড়া গুনতে হবে তা নির্ধারণের বিষয়ে নাক গলাবে না সরকার। যার বাড়ি, তিনিই ঠিক করবেন ভাড়া। ‘হোম স্টে’ বুকিং করা যাবে অনলাইনেও। আয় যা হবে, তার কোনো ভাগ সরকারকেও দিতে হবে না। পুরোটাই মালিকের।
তবে সুন্দরবনের এত জায়গা থাকতে কেন ঝড়খালিতে ‘হোম-স্টে’ প্রকল্প? পর্যটন দপ্তরের এক কর্তা বলেন, অবস্থানগত নানা সুবিধা রয়েছে ঝড়খালিতে। সুন্দরবনের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে এই এলাকাটি অনেক বেশি উন্নত। পাশেই রয়েছে বাঘের পুনর্বাসন কেন্দ্র। রয়েছে ঘন জঙ্গল। সব মিলিয়ে পর্যটকদের কাছে ঝড়খালি বেশ আকর্ষণীয়।
ফলে একজন পর্যটক গভীর রাতে ঘন জঙ্গলে শুনতে পারবেন ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। বেডরুমের জানালায় উঁকি মারবে বনমোরগ। ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে শোনা যাবে বুনো শুয়োর আর হরিণের ডাক। পাশেই পুনর্বাসন কেন্দ্র হওয়ার ফলে শোনা যাবে বাঘের গর্জনও। সে এক রোমাঞ্চকর পরিবেশ পরিবেশনা করবে এই ‘হোম স্টে’গুলো।
রহস্য-রোমাঞ্চ যারা পছন্দ করেন তার একটু সাহস করে রাত্রিযাপন করতেই পারেন ঝড়খালিতে। অক্টোবরের শুরুতেই অর্থাৎ দূর্গাপুজার সময় থেকেই খুলে যাচ্ছে এই অঞ্চলে হোম স্টে গুলো। যা নিয়ে স্বভাবতই খুশি অঞ্চলের বাসিন্দারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২০
ভিএস/এইচএডি