কলকাতা: ভারতে নতুন করে আরও ৪৭টি চীনা অ্যাপ নিষদ্ধ করা হলো। দেশটির কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে, সেই নিষিদ্ধ অ্যাপগুলির একাধিক ক্লোন ভার্সনগুলো ভারতের বাজারে রয়ে গিয়েছিল।
এরমধ্যে রয়েছে টিকটক লাইট, হেলো লাইট, শেয়ারইট লাইট, বিগো লাইভ লাইটের মতো একাধিক অ্যাপ। তবে নিষিদ্ধ অ্যাপের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনও ঘোষণা করেনি সংশ্লিষ্ট ওই মন্ত্রণালয়। তা খুব শিগগিরেই প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে জানা গেছে, নিষিদ্ধ অ্যাপের যে নতুন যে তালিকা প্রকাশ হতে চলেছে, তাতে একাধিক চীনা গেমিং অ্যাপ রয়েছে।
একইসঙ্গে, অনলাইন শপিং আলিবাবা সহ আরও ২৫০টি চীনা অ্যাপের তালিকা তৈরি করেছে। সেগুলিও পরীক্ষা করে দেখছে ভারত সরকার। ওই অ্যাপগুলি ব্যবহারকারীদের তথ্য ও জাতীয় সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনো বিধি লঙ্ঘন করছে কি না, তাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অবশ্য এর আগে (২৯ জুন) লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনার আবহে টিকটকসহ মোট ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল দেশটির তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
সে সময় নিষিদ্ধ অ্যাপের তালিকায় টিকটক ছাড়া ছিল শেয়ার ইট, ইউসি ব্রাউজার, লাইকি, ইউচ্যাট, বিগো লাইভ, ক্লাব ফ্যাক্টরি, এমআই কমিউনিটি, ভাইরাস ক্লিনার, এমআই ভিডিও কল, শাওমি, হেলো, বিউটি প্লাস, ইউক্যাম মেকআপ, ক্যাম স্ক্যানার, সুইট সেলফি, প্যারালেল স্পেস, ইউসি নিউজ, উইমিট, ডিইউ রেকর্ডার, মোবাইল লেজেন্ডস, ওন্ডার ক্যামেরা মতো অ্যাপগুলি।
বলা হয়েছিল জাতীয় স্বার্থ ও তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ৫৯টি চীনা অ্যাপ ব্যান করা হয়েছিল। এবার সেই তালিকায় আরও ৪৭টি অ্যাপ যুক্ত করলো ভারত সরকার।
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েরর তরফে জানানো হয়েছে, ১৩০ কোটি ভারতবাসীর তথ্য সুরক্ষিত রাখার প্রশ্নে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্লাটফর্মে মোবাইল অ্যাপগুলি অপব্যবহার করে গ্রাহকদের তথ্য চুরি করা হচ্ছে বলে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে। এরপরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
ভিএস /এমএমএস