কলকাতা: চলমান করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের রক্ষাকবচ হিসেবে সব সময়ের সঙ্গী হয়ে উঠেছে মাস্ক। নানা রঙের কাপড়ের তৈরি মাস্কে মুখ ঢেকে যাচ্ছে।
কিন্তু এসব বিভ্রান্তি দূর করতে শহর কলকাতায় শুরু হয়েছে নতুন ট্রেন্ড। বাজারে এসেছে নিজের ছবি দেওয়া মাস্ক। এবং তা জনপ্রিয়ও হচ্ছে। শহরজুড়ে এ ধরনের মাস্কের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে শহরে অধিকাংশ ব্যবসা সলতের প্রদীপের মতো জ্বলছে। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কিছু ব্যবসায়ী ভালো ব্যবসা করছেন। তাদের এ অভিনব মাস্কের দৌলতে গতি এসেছে শহরের হিট প্রেসার প্রিন্ট ব্যবসায়। মাস্কের ওপর ছবি ছাপানোর প্রচুর অর্ডার পাচ্ছেন তারা।
কলকাতার এ ধরনের সংস্থার এক কর্ণধার রজত বলেন, আগে জামা-কাপড়, কাপ-প্লেটসহ একাধিক সামগ্রীর ওপর লেখা ও ছবি প্রিন্ট করা হতো। বর্তমানে পেস্ট্রোর বাজার নেই। তবে এখন মাস্ক প্রিন্ট করার অর্ডার ভালোই পাওয়া যাচ্ছে। নিজের মুখমণ্ডলের মাস্ক প্রিন্ট করতে কাপড় অনুযায়ী খরচ পড়ছে ৬০ থেকে ১০০ রুপি।
অন্যদিকে, শহরের মাস্কম্যান পরিচিত রাজর্ষি দাস বলেন, মুখমণ্ডলের পাশাপাশি তারকাদের ছবি দেওয়া মাস্কেরও চাহিদা আছে। এ যেমন ধরুন তারকাদের বাজারে বর্তমানে সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রিন্ট করা মাস্ক ভালোই কাটছে। তবে এসব মাস্ক গেঞ্জি কাপড়ের হয় বলে খুব একটা আরামদায়ক বা ফ্যাশনেবল বলা যায় না।
আমাদের এখানে যে মাস্ক বেশি চলছে তা তাঁতের কাপড়ের হস্তশিল্পীদের তৈরি ফ্যাশনেবল মাস্ক। তাঁতের কাপড়ের বলে শুধু ফ্যাশন নয় পড়েও আরাম। বারে বারে মুখ থেকে খুলে রাখার ইচ্ছাটা আর হয় না। দাম ৩০ থেকে ৬০ রুপির মধ্যে।
রাজর্ষি দাস পাইকারি ছাড়াও দিনে কমপক্ষে হাজার পিস খুচরা মাস্ক বিক্রি করে থাকেন। পোশাকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নির্বিশেষে কিনছেন নারী-পুরুষ সবাই। রাজর্ষির কথায়, এহেন পরিস্থিতিতে পোশাকের বাজার খুব একটা নেই। কিন্তু হস্তশিল্পীদের টিকে থাকতে হবে। তাই আমার এ পদ্ধতি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক। কতদিন মাস্ককে জীবনসঙ্গী করে নিয়ে সংসার করতে হবে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। ইচ্ছা থাক বা না থাক, একে এনিয়েই চলতে হবে। আর এ মাস্ককে সঙ্গী করতে রজত বা মাস্কম্যান রাজর্ষি দাসের মতো লোকেরা শহর কলকাতায় এনেছে ফ্যাশনেবল মাস্কের নতুন ট্রেন্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অগাস্ট ০৩, ২০২০
ভিএস/ওএইচ/