কলকাতা: শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেলার মাঠের প্রাচীর ও গেট ভেঙে দিয়েছে এলাকাবাসী। কর্তৃপক্ষ মেলার মাঠ কেন ঘিরে দিচ্ছে, তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার (১৭ আগস্ট) শান্তিনিকেতনে প্রায় চার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালায়। জেসিবি মেশিন দিয়ে বিশ্বভারতীর একটি গেট ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। মূলত মেলার মাঠে যারা ব্যবসা করেন তারাই ভাঙচুর চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভাঙচুরের সময় সেখানে দুবারজপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নরেশ বাউড়ি উপস্থিত ছিলেন। যদিও এ ঘটনায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও মুখপাত্র অনির্বাণ সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো মেলেনি।
এর আগে পৌষ মেলার মাঠ প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কারণ এই মাঠে পৌষ মেলা ছাড়াও বসন্ত উৎসবে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করে। ফলে প্রতিবছরই কিছু না কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। সে কারণেই সোমবার সকাল থেকেই প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু হয়।
এর বিরোধিতা করে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের কাছে ধারণা দেওয়া হয়, চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে মেলা। যদিও এবার পৌষ মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার কথা হয়েছে বলে টুইটারে জানিয়েছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২০
ভিএস/টিএ