ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক অনুষ্ঠিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
কলকাতায় বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক অনুষ্ঠিত

কলকাতা: আগামী ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের আগে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন।

বৈঠক শেষে কলকাতায় যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)।

গত ৯ থেকে ১১ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী ‘বর্ডার মানেজমেন্ট প্ল্যান’ শিরোনামে বিজিবি ও বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বৈঠক হয়। বৈঠকের বিষয়ে জানাতে বিজিবি ও বিএসএফর শীর্ষ কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলন করেন।

কর্মকর্তারা জানান, বৈঠকে উঠে এসেছে আগামী দিনে কীভাবে দুই দেশের সীমান্ত সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা যায়। পাশাপাশি মাদক কারবার রোধ, দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সঠিক সময়ে তথ্যের আদান-প্রদান, সীমান্তে যৌথ ভিজিট ও যৌথ অভিযান, সীমান্ত হত্যা, খালি জায়গায় সীমান্তে কাঁটাতারসহ একাধিক বিষয় বৈঠকে উঠে আসে।

বিজিবির পক্ষে অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর জেনারেল (যশোর) মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, সীমান্তে যে সমস্ত সমস্যাগুলো আছে তাই নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে কনফিডেন্স বিল্ডাপ, সঠিক সময় তথ্যের আদান-প্রদানের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বৈঠক হয়েছে।

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিদের মৃত্যু অর্থাৎ সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে বাংলানিউজের এমন প্রশ্নের জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা বিজিবির পক্ষ থেকে নজর রাখার চেষ্টা করছি যাতে হঠাৎ করে কোনো বাংলাদেশি সীমান্ত পার না হয়ে যায়। আমরা বিএসএফকে জানিয়েছি কোনো বাংলাদেশির বর্ডার ক্রস করার ঘটনা নজরে এলে সঠিক সময়ে বিজিবিকে জানাতে। যেটাকে বলা হচ্ছে রিয়েল টাইম ইনফরমেশন। এই বিশেষ বিষয়ে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। এর ফলে সীমান্ত হত্যা শূন্যতে গিয়ে ঠেকবে। আমরা সেই আঙ্গিকেই কাজ করছি।

অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর জেনারেল জাকির হোসেন জানান, আজকের এই বৈঠকের অবশ্যই একটা ইফেক্ট আছে। এরপর ডিজিএ লেভেলে আলোচনা হবে। তারপর সর্বোচ্চ পর্যায়ে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

বিএসএফের পক্ষে আইজি অসীম কুমার সিং বলেন, আমরা বিশেষ নজর রেখেছি ইয়াবা এবং ড্রাগের আদান-প্রদান যাতে দুই দেশের মধ্যে না হয়, ইল্লিগ্যাল ইমিগ্রেশন ও ইল্লিগ্যাল ট্রান্সপোর্ট স্মাগলিং অচিরে যাতে বন্ধ করা যায় তাই নিয়ে বিএসএফ এবং বিজিবির খুব ভালো বৈঠক হয়েছে।

বিজিবির পক্ষে অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর জেনারেল মোহাম্মদ জাকির হোসেন ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীর সেক্টর কমান্ডার তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ, ডাইরেক্টর কমান্ডিং অফিসার (জয়পুরহাট) মো. ফেরদৌস হাসান টিটো, কমান্ডিং অফিসার (যশোর) মোহাম্মদ সেলিম রেজা। বিএসএফের সাউথ বেঙ্গলের আইজি অসীম কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের সাত জনের একটি দল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।