কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর মমতার নজর এখন দিল্লি অভিমুখে। আর তাই ২০২৪ এ আসন্ন লোকসভা ভোটে মোদী সরকারকে উৎখাতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অপরদিকে, দিদিকেই ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়তে বর্তমানে দিল্লি সফরে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
গত মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) কংগ্রেস নেতা কমলনাথ, আনন্দ শর্মার সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সেরেছেন। বুধবার (২৮ জুলাই) তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও যোগ দেন তিনি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বড় প্রশ্ন বিজেপি বিরোধী জোটে কে দেবে নেতৃত্ব? রাজনৈতিক ভাবে কে হবেন নরেন্দ্র মোদীর বিরোধী মুখ?
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, আমি জ্যোতিষী নই। এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। এই শক্তিকে হটাতে যে কেউ জোটের নেতৃত্ব দিলে আমার কোনও আপত্তি নেই। এটা চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, যখন প্রয়োজন পড়বে তখন নেতৃত্ব বেছে নেওয়া হবে। এটা আমরাই ঠিক করে নেবো। তবে দিল্লির রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মমতার এই মন্তব্য কার্যত মোদী বিরোধী মুখ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়া।
এবারের দিল্লি সফরে শুরুতেই মমতা বন্দোপাধ্যায় স্পষ্ট করতে চেয়েছেন এই মুহূর্তে মোদী বিরোধীদের এক সুতোয় গাঁথা। আর তাই দরকারে নেত্রী হয়ে নয়, ক্যাডার বা সহযোদ্ধা হয়েই ২০২৪ মিশন সফল করতে চান তিনি।
এদিন তৃণমূল সাংসদ সদস্য সুখেন্দু শেখর রায়ের দিল্লির বাড়িতে বসেছিল তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠক। সেখানে মমতা বলেছেন, ‘অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন। এবার দেশে আসবে সচ্চে দিন। ’এমনকি জোট চাইলে মোদীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বারাণসী কেন্দ্রেও যেতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। বৈঠকে সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশপাশি এদিন কংগ্রেস সভানেত্রী ডাকে সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে চা চক্রে যোগ দিয়েছেন মমতা। ছিলেন রাহুল গান্ধীও। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা বলেন, রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে সোনিয়াজির সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। বিরোধীদের ঐক্য হওয়াটা খুবই জরুরি। বিরোধী জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯৮, ২০২১
ভিএস/এএটি