কলকাতা: ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সারা ভারতে শুধুমাত্র সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ লাখ মানুষের। দেশটির কয়েকটি রিচার্জ সংস্থা জানিয়েছে, সাপ এবং সাপের কামড় সম্পর্কে অনেকেরই জ্ঞান নেই।
ভারতের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন রিপ্রোডাকটিভ হেলথ’, মুম্বইয়ের ‘আইসিএমআর ল্যাবরেটরি’ এবং মহারাষ্ট্র রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিভাগের গবেষণায় সাপের কামড়ে মৃত্যুর বিষয়টিতে সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাব তুলে ধরা হয়েছে।
এর পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সারা বিশ্বে বছরে প্রায় ৫৪ লাখ মানুষ সাপের কামড়ের আওতায় অন্তর্ভুক্ত। এরমধ্যে বিষক্রিয়া ঘটে ১৮ থেকে ২৭ লাখ মানুষের। তাতে মৃত্যু হয় ৮০ হাজার থেকে ১৪ লাখ মানুষের এবং অনেক মানুষ নানা অস্থায়ী অক্ষমতায় ভোগেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উন্নয়নশীল দেশগুলির মানুষ দীর্ঘমেয়াদী জটিলতায় যেমন বিকৃতি, সংকোচন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা, রেনাল জটিলতা, মানসিক কষ্ট এসব সমস্যায় ভোগেন।
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বিশ্বে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ৫০ শতাংশ হয় ভারতেই। কৃষক, শ্রমিক, শিকারি, গরু ছাগল পালনকারী, সর্প উদ্ধারকারী, আদিবাসী এবং গ্রামের অধিবাসীরা যাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সীমিত উপলব্ধি রয়েছে তারা সাপের কামড়ের জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী।
এছাড়া সচেতনতার অভাব, সাপের কামড় রোধে অপর্যাপ্ত জ্ঞান এবং সম্প্রদায়ের পাশাপাশি পেরিফেরাল স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা, জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা পেতে দেরি হয় তাদের। সাপের বিষরোধক ওষুধ পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষিত চিকিৎসক না পাওয়ায় সর্পদংশনে ভারতে অধিক সংখ্যক মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২১
এনটি