কলকাতা: প্রতীক্ষার অবসান! বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের পাইকারি বাজারে পৌঁছেছে বাংলাদেশের রূপালী ইলিশ। প্রথম পর্যায়ে ১১টি ট্রাকে করে পৌঁছায় পদ্মা-মেঘনার ৮০ মেট্রিকটন রূপালি ফসল।
বাংলাদেশের বিভিন্ন নদীতে ইলিশের জোয়ার এলেও পশ্চিমবাংলায় এবারও ইলিশের আকাল। ফলে গঙ্গা-ফারাক্কার ইলিশ কলকাতাবাসীর সেভাবে চোখে পড়েনি। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের ইলিশ পাঠানোর খবর প্রকাশ হতেই অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন শহরবাসী। আকার ভেদে পাইকারি বাজরে দাম প্রতি কেজি সাড়ে ৬শ রুপি থেকে দেড় হাজার পর্যন্ত। অর্থাৎ একখানা বাংলাদেশের ইলিশ গৃহস্থের হেঁসেলে তুলতে হলে খরচ করতে হবে কমবেশি ১১শ থেকে ২ হাজার রুপি। তবে তাতেও খুশি কলকাতাবাসী।
গত তিন বছর ধরে যার উদ্যোগে কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের দেখা মেলে আমদানিকারদের সেই সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, এখানে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা অনেক। তবে চাহিদা অনুযায়ী সাপ্লাই নেই। তাই দাম তো বেশি হবেই। যদিও ধাপে ধাপে আরও ইলিশ আসছে, তাই দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে খুব একটা হেরফের হবে না।
সাধরণত বাংলাদেশের ইলিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীরাও খেয়ে তৃপ্তি পান। আর তাই পূজার প্রাক্কালে কলকাতায় প্রতিবারের মত এবারও একটা উৎসাহ তৈরি হয়েছে। ফলে প্রথম ধাপের ৮০ মেট্রিকটন ইলিশ পাইকারি বাজার থেকে নিমেষে উধাও হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে, গত তিনবছর ধরে পূজার আগে ইলিশ উপহার হিসেবে ভারতে পাঠাচ্ছেন শেখ হাসিনার সরকার। ২০১৯ সালে এসেছিল ৫০০ মেট্রিক টন, গতবছর বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮৫০ টন। এ বছর ২ হাজার ৮০ টন। তবে এ বছর পরিমাণটা আরও খানিকটা বাড়তে পারে বলে ধারণা মাকসুদের।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ পৌঁছানোয় বেশ খুশি কলকাতার খুচরো মাছ ব্যবসায়ীরা। পূজার প্রক্কালে বাড়তি উপার্জন ঘর তুলতে পারবেন বলে তারা আশাবাদী। তাদের অনুরোধ সরকারি নিষেধাজ্ঞা যাই থাকুক অন্তত উৎসবের মৌসুমে বাংলাদেশের ইলিশ আসুক কলকাতায়।
মাস শেষ হলেই দুর্গা পূজা। ফলে প্রাক-শারদ উৎসবের মুহূর্তে কলকাতার বাঙালির পাতে বাংলাদেশের ইলিশ ওঠা শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর তার স্বাদ গৃহস্থের হেঁসেলে পৌঁছানোর প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে কলকাতার মাছ বিক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
ভিএস/এমএমজেড