কলকাতা: বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার পর ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে ভোট দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে এই মিত্র ইনস্টিটিউশন স্কুলকেন্দ্রেই ভোট দিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে পায়ে চোট পেয়ে সেবার হুইল চেয়ারে বসে ভোটকেন্দ্রে এসেছিলেন মমতা। তবে এবার স্বাভাবিকভাবে পায়ে হেঁটেই ভোট দিতে আসেন তিনি।
ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে উপস্থিত জনতা ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তৃণমূল সুপ্রিমো। এ সময় তার শরীরীভাষায় ছিল জয়ের আত্মবিশ্বাস। তবে ভবানীপুরবাসী কাকে বেছে নিয়েছে তা জানা যাবে আগামী ৩ অক্টোবর।
২০১১ সাল ছিল পশ্চিমবাংলায় পরিবর্তনের বছর। সে বছর দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম জমানার পতন ঘটে মমতার হাত ধরেই। তখন মমতা জয়ী হয়েছিলেন ৫৪ হাজার ২১৩ ভোটে। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিপিএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায়।
৫ বছর পর ২০১৬ সালে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার বাম-কংগ্রেস জোটের, কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন দীপা দাশমুন্সি। তাকে ২৫ হাজার ৩০১ ভোটে মমতা হারিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
এরপর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন মমতা। তাই এবার উপনির্বাচনে তৃণমূলের ঘাঁটি ভবানীপুর আসন থেকে লড়ছেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবানীপুর মমতাকে কখনো নিরাশ করে না। ফলে এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। বরং সংখ্যাটা বাড়তে পারে। কারণ প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নেত্রীর শারীরিক ভাষায় সেই আত্মবিশ্বাস দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
ভিএস/এমজেএফ