কলকাতা: ‘নিজেদের শক্তি সঞ্চয় ও মোদী সরকারকে উৎখাত করার জন্য বাংলা ছেড়ে ভিন রাজ্যে পা বাড়াবে তৃণমূল কংগ্রেস’। সম্প্রতি এমনই জানিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারাণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফলে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, গোয়ার পরে এবার মেঘালয়মুখী মমতা দল। সূত্রের খবর, রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা কংগ্রেস ছাড়ছেন। শুধু এখানেই শেষ নয়, মেঘালয়ের এ প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা শিগগিরই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। তার সঙ্গেই মমতার দলে যোগ দেবেন উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যের অন্তত ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক।
দিন দুয়েক আগে বাংলায় এসে গোয়া কংগ্রেসের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এবার মেঘালয়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা ওই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমার সঙ্গেও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের যোগাযোগ চলছে বলে খবর সামনে এসেছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সর্বভারতীয়স্তরে একযোগে মোদী বিরোধী আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে ভিন রাজ্যে কংগ্রেস নেতৃত্ব থেকেই তৃণমূলে যোগের পালা চলছে। কংগ্রেস ভেঙেই সেই সব রাজ্যে শক্তিশালী হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের টার্গেট ছোট রাজ্য। তাই ত্রিপুরা, আসাম, গোয়া, মেঘালয়। এভাবেই এগোতে চাইছে মমতার দল। সামনেই ত্রিপুরা, গোয়া, মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। ফলে ওইসব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল।
২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন মুকুল সাংমা। বর্তমানে তিনি ওই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু কেন হঠাৎ কংগ্রেস ছাড়ছেন? জানা যায়, মাস দেড়েক আগে তার বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত লোকসভা সংসদ সদস্য ভিনসেন্ট পালাকে মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে নিয়োগ করেছে কংগ্রেস। তা মেনে নিতে না পারায় তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে মুকুল সাংমা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২১
ভিএস/আরবি