কলকাতা: ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কম করে হলেও ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবেন, এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
একই মত পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভবানীপুরে সম্পন্ন হয়েছে উপ-নির্বাচন। ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে রোববার (৩ অক্টোবর)।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভবানীপুর মমতার দলকে কোনোকালেই নিরাশ করেনি। তাই মমতার জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।
অপরদিকে এবারের ভোটে মমতার জয়ের মার্জিন কমানোই বিজেপির প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল। মুখে স্বীকার না করলেও রাজ্য বিজেপির অন্দরে এখনো এই নিয়েই চর্চা চলছে। এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর জয়ের মার্জিন কমানো নিয়ে অঙ্ক কষছে।
সেখানে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমি বিজেপি দলটা ভালোবেসেই করি। তবুও ফলাফলের আগে ভবিষ্যদ্বাণী করতে বাধ্য হচ্ছি, ভবানীপুরে মমতা ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হবেন। বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে যে ভুল করেছিল, ভবানীপুর উপ-নির্বাচনে তাই করেছে। বাংলাকে জয় করতে গেলে প্রথমে বাঙালি হতে হবে। কোনও অবাঙালি এসে চট করে বাংলার মন জয় করে যাবে, এটা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত এবারের ভোটে বিজেপি প্রার্থী করেছিল অবাঙালি প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে। প্রার্থী ঘোষণার আগ অব্দি যা বিজেপির অন্দরে অনেকেই মেনে নিতে পারেনি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও ভবানীপুরে জিতেছেন, এবারেও জিতবেন। তবে, জয়ের ব্যাপারে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কতটা ভোট দিয়েছেন তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অধীর চৌধুরীকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির সাবেক রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।
জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিলীপের জবাব, যারা নির্বাচনে কাজ না করে ঘরে বসে বসে থাকে, তাদের এসব কথার কোনও গুরুত্ব নেই।
প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে প্রার্থী করা হয়েছিল বলে ভবানীপুরে লড়াই হয়েছে। এতে ওখানকার মানুষ খুশি। বাড়িতে বসে, ফেসবুক, টুইটারে তো অনেকেই অনেক কিছু বলতে পারেন।
অধীর চৌধুরীকেও কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, অধীর চৌধুরী দলতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। পার্টিটাই ওনার (মমতা) হাতে দিয়ে দিয়েছে। তাই তো তারা প্রার্থীই দেয়নি। উপ-নির্বাচনের আগে তো দুই ম্যাডামের (মমতা-সোনিয়া) এটা নিয়েই কথা হয়েছে। সেই মতো কংগ্রেস এখানে তৃণমূলকে ছেড়ে দিয়েছে। তাই অধীরবাবুদের ভোটে কোনো কাজ ছিল না। আসলে ঘরে বসে অনেকে অনেক কথা বলতে পারেন। হার-জিত তাদের মুখে মানায় যারা ময়দানে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২১
ভিএস/এএটি