ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

৮ মাসেই স্বয়ংক্রিয় প্যাকেজিং সেন্টার হলো ত্রিপুরায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২১
৮ মাসেই স্বয়ংক্রিয় প্যাকেজিং সেন্টার হলো ত্রিপুরায়

আগরতলা (ত্রিপুরা): করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও মাত্র ৮ মাসে দ্বিতীয় স্বয়ংক্রিয় প্যাকেজিং সেন্টার নির্মাণ শেষ হয়েছে ত্রিপুরায়।

রাজ্যের উৎপাদিত কুইন আনারস, কাঁঠাল, সুগন্ধি লেবুসহ অন্যান্য সামগ্রির পরিচিতি এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফলে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের এসব কৃষিপণ্যের চাহিদা বাড়ছে বিদেশের বাজারে।

কিন্তু উন্নত দেশগুলিতে ফলসহ সবজি রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু গুণগত মানদণ্ড মেনে পণ্য প্যাকেজিং করে রপ্তানি করতে হয়। ত্রিপুরা তথা সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতে এ ধরনের অত্যাধুনিক প্যাকেজিং সেন্টারের অভাব রয়েছে। প্রতিবেশী রাজ্য আসামের গৌহাটিতে এমন একটি অত্যাধুনিক প্যাকেজিং সেন্টার রয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনারসসহ অন্যান্য ফল গৌহাটিতে নিয়ে প্যাকেজিং শেষে বিদেশে রপ্তানি করলে বেশিদিন তাজা থাকে না। তাই ত্রিপুরা রাজ্য সরকার সেখানে এমন একটি প্যাকেজিং কারখানা স্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা চায়।

সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ত্রিপুরায় প্যাকেজিং সেন্টার স্থাপনের জন্য চলতি বছরের শুরুতে সাড়ে চার কোটি রুপি মঞ্জুর করে ভারত সরকার। এরপরই অত্যাধুনিক এই প্যাকেজিং সেন্টার নির্মাণের কাজ শুরু করা হয় আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার উদ্যান ও ফল গবেষণা কেন্দ্রে। এরই মধ্যে সেন্টারের কাজ পুরোপরি শেষ হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বেসরকারি নির্মাণ সংস্থা এটি রাজ্য সরকারের কাছে হস্তান্তর করবে। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।

স্বয়ংক্রিয় প্যাকেজিং সেন্টারের ভেতর ফল সবজি পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে গ্রেডিং, প্যাকেজিং এবং কোল্ড চেইন বজায় রেখে রপ্তানির ব্যবস্থা রয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ডেপুটি ডিরেক্টর ড. রাজীব ঘোষ।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফল ও সবজি আনার পর প্রথমে সেগুলি পরিষ্কার করা হবে। তারপর মান অনুসারে আলাদা আলাদা গ্রেডে ভাগ করা হবে। এরপর প্যাকেট করে ফল অথবা সবজি অনুসারে যে পরিমাণ আর্দ্রতা ও ঠাণ্ডার মধ্যে থাকা দরকার সে অনুসারে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সাময়িক সময়ের জন্য স্টোরে রাখা হবে। সবশেষে এগুলিকে কন্টেইনারে করে রপ্তানির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যেহেতু সবকটা কাজ একই জায়গায় সম্পন্ন হবে তাই এ ধরনের প্যাক হাউসকে বলা হয় ইন্ট্রিগেটেড প্যাক হাউস। এই প্যাক হাউজের সবকিছুই হবে আন্তর্জাতিক স্তরের গুণমান বজায় রেখে।

বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কারণে কাজ শেষ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। কারণ অত্যাধুনিক এই প্যাকেজিং হাউসের প্রয়োজনীয় সামগ্রী অন্য রাজ্য থেকে আনা হয়েছে। তারপরও মাত্র আট মাসের মধ্যে এর নির্মাণ শেষ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর, ২০২১
এসসিএন/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।