ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

আগরতলায় মমতার সভা ডিসেম্বরে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
আগরতলায় মমতার সভা ডিসেম্বরে

আগরতলা (ত্রিপুরা): বহু বাধা-বিপত্তির পর অবশেষে রোববার (৩১ অক্টোবর) ক্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় সমাবেশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি।
এদিন আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, আমি আসবো বলে ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

এরপর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের উদ্দেশে তিনি বলেন, লড়াইটা হচ্ছে আমার সঙ্গে। তাহলে সাধারণ মানুষকে কেন কষ্ট দেওয়া হচ্ছে?

তিনি আরও বলেন, আজ ত্রিপুরা থেকে বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ‘খুঁটি পূজা’ করেছি। ২০২৩ সালে তাদেরকে রাজ্য থেকে সম্পূর্ণভাবে বিসর্জন করে দেবো। তবে এদিন তিনি স্বীকার করেন, ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস কিছুটা ভুল করেছিল। তাই বিজেপি তখন রাজ্যটিতে ক্ষমতা দখল করতে পেরেছে।

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে সভা করার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রথমে অনুমতি দেয়। কিন্তু পরে অন্য কোথাও সমাবেশ করার নির্দেশ দেয় পুলিশ। এ অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস বাধ্য হয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে গেলে শনিবার রাতে আদালত তাদের রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনেই সভার অনুমতি দেয়।
এ প্রসঙ্গে অভিষেক ব্যানার্জি রোববার বলেন, বিপ্লব দেব চেয়েছিল আগরতলার আস্তাবল ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেস সমাবেশ করুক। তার সেই ইচ্ছা পূরণ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ডিসেম্বরের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে আগরতলায় আসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী আস্তাবল ময়দানেই সভা করবেন।

সেই সঙ্গে অভিষেক আরও জানান, আগামী নভেম্বর মাসে দুই থেকে তিনবার তিনি নিজে আগরতলায় আসবেন এবং সভা করবেন।
এদিন জনসভায় অভিষেক ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সরাসরি সমালোচনা করেন। বলেন, রাজ্যের মানুষ এখানে নতুন বিপ্লব হবে ভেবে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল।   কিন্তু বাস্তবে বিপ্লব দেব হচ্ছে বিগ ফ্লপ দেব। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো দূর, পুরনিগমের একটি ওয়ার্ডের সভাপতি হওয়ার ক্ষমতা রাখেন না। পাড়ার ক্লাবেরও সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।

তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে ত্রিপুরায় আটকাতে বিজেপি বহু চেষ্টা করেছে। কিন্তু এভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তৃণমূল কংগ্রেসেরর প্রতীক হচ্ছে ঘাসফুল। ঘাসকে যত বেশি কাটা হয় ততোই দ্রুত বাড়ে। ত্রিপুরাবাসীর মুক্তির লড়াইয়ে তিনি এখানে পড়ে থাকবেন। শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ত্রিপুরার মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করবেন।

অভিষেক বলেন, ত্রিপুরায় নারীরা চরম শঙ্কিত। তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব এখানে এসে আক্রান্ত হয়েছেন। যদি বিজেপির গুণ্ডাদের এখানে দমন না করা যায়, তবে ত্রিপুরার অবস্থা আফগানিস্তানের চাইতেও ভয়াবহ হবে।

এ অবস্থায় বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য ত্রিপুরার আপামর মানুষের  প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভায় ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক আশীষ কুমার দাস এবং পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব ব্যানার্জি ফের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অভিষেক ব্যানার্জি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর, ২০২১
এসসিএন/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।