কলকাতা: ২০১৯ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচনে, পশ্চিমবঙ্গের ফল অনুযায়ী ৪২টি মধ্যে ১৮টি আসন পায় বিজেপি। বাকি অনেক আসনেও বিজেপির ভোটের ব্যবধান ছিল সামান্য।
অপরদিকে, কলকাতার সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী রোববার (১৯ ডিসেম্বর), ফলে লাল বাড়ি অর্থাৎ কলকাতা করপোরেশন যে, একুশের সিটি নির্বাচনেও দখল করা সম্ভব নয়, তা বাস্তব বুঝে, এখন বিজেপির লক্ষ্য, যে কোন মূল্যে দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করা।
২০১৫ সালে সিটি নির্বাচনের নিরিখে কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৪টিতে জয় পায় মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস। বামেরা পেয়েছিল ১৫টি ওয়ার্ড। বিজেপি ৭টি এবং কংগ্রেস জয় পায় ৫টি ওয়ার্ডে। বাকি ৩টি ওয়ার্ডে জয়ী হন নির্দলীয় প্রার্থীরা। রাজ্য বিজেপির হিসেব অনুযায়ী ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে ১৩২টি ওয়ার্ড এগিয়ে আছে তৃণমূল। বিজেপি ১১টি এবং কংগ্রেস এগিয়ে আছে ১টি আসনে। বামেরা কোথাও এগিয়ে থাকতে পারেনি। যদিও বিধানসভা নির্বাচন আর সিটি নির্বাচনের হিসেব যে এক হয় না, সেটাও মাথায় রাখছে বিজেপি।
সেই হিসেব ধরেই ২০১৫-র মত এবারও কমপক্ষে ৭টি ওয়ার্ডে যাতে জয় পাওয়া যায়, সেটাই লক্ষ্য বিজেপির।
তবে ২০১৫ সালে জেতা ৭টি আসন, ২০২১ এর নির্বাচন অনুযায়ী একটিও ধরে রাখতে পারেনি রাজ্য বিজেপি। ২০১৫ সালে ৭, ২২, ২৩, ৪২, ৭০, ৮৬, এবং ৮৭ ওয়ার্ডে জয় পেয়েছিল বিজেপি। যার মধ্যে ৭ এবং ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এবার ওই দুই ওয়ার্ড না হলেও কমপক্ষে ৭টি ওয়ার্ডে জয় চাইছে বিজেপি।
বিজেপির এক রাজ্য নেতা জানান, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে কিছুই নির্ভর করে না। তবে এটাও ঠিক যে কলকাতায় তাদের সাংগঠনিক শক্তি বরাবরই কম। আর এখন তো বেশ ছন্নছাড়া অবস্থা। তাই বড় লক্ষ্য নেওয়ার কোনো অর্থই হয় না। দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করাটাই প্রধান লক্ষ্য।
অপরদিকে, ২০১৫ সালের নিরিখে বামেরা পেয়েছিল ১৫টি ওয়ার্ড। কিন্তু ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে গোটা পশ্চিমবঙ্গে একটি আসন দখল করতে পারেনি তারা। আর কলকাতা বরাবরই বাম বিরোধী। একই অবস্থা বর্তমান কংগ্রেসেরও। ফলে সেই অর্থে সিপিআইএমকে টপকে যাওয়াই এখন বিজেপির মূল লক্ষ্য। তবেই সিটি নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে পরবে মোদির দল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১
ভিএস/এমএমজেড