কলকাতা: রোজার মাসে কলকাতায় মাছ-মাংস-ডিমসহ নিত্যপণ্যের তেমন দাম বাড়েনি। মোটামুটি একই দাম আছে সবজি, আদা, পেঁয়াজ, রসুনের।
ফলে কলকাতার তুলনায় লাগোয়া পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোয় মাছ, মাংস, সবজির দাম অনেকটাই কম। রোববার (৩ এপ্রিল) কলকাতার একাধিক বাজার সরেজমিনে ঘুরে এমনই ধারণা পাওয়া গেছে।
রমজান মাসকে সামনে রেখে কলকাতার বাজারে গরুর মাংসের দাম রয়েছে ২০০ রুপি। তবে হাঁড় ছাড়াও শহরে মাংস বিক্রি হয়। সেক্ষেত্রে দাম পড়ছে ২৪০ থেকে ২৫০ রুপির মধ্যে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রোজার মাসে কলকাতায় গরুর মাংসের চাহিদা নাকি কম থাকে। না হলে সাধারণত হাঁড়সহ মাংসের দাম থাকে ১৯০ এবং হাঁড় ছাড়া ২১০ রুপি- এমনই জানিয়েছেন কলকাতার বেগবাগান অঞ্চলের কসাই আদম।
অপরদিকে, ২০ রুপি বেড়ে খাসির মাংসের দাম হয়েছে ৭৬০ রুপি। ফার্মের মুরগি ১৭০ থেকে ২০০ রুপি। দেশি মুরগি ৩৫০ রুপি। প্রতি পিস ডিমেরদাম ৫০ পয়সা কমে হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ রুপিতে। মাছ মোটামুটি আগের দামেই আছে।
এছাড়া শসা প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৪০ রুপি, বেগুনও বিক্রি হচ্ছে প্রায় একই দামে। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ রুপি, প্রতি কেজি করলা ৪০ রুপি, গাজর-ক্যাপসিকাম ৪০ রুপি। কাঁচা পেঁপে ২০ রুপি, পটল বেড়ে হয়েছে ৮০ রুপি। আর লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ রুপি। রসুন ৮০ এবং আদা ৬০ রুপি কেজি।
এসব বাজারে ব্রান্ড অনুযায়ী সরিষার তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ২১০ রুপি। তবে কলকাতায় বেশি চাহিদা থাকে সোয়াবিন তেলের। তা লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮৫ রুপি দরে। চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ রুপি।
এছাড়া আগের দামই বহাল আছে চালে (৩০- ৭০ রুপি), পাশাপশি আগের মতই বহাল আছে সরকারি রেশন দোকানে বিনামূল্যে চাল ও গম। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য দুই সরকার মাথাপিছু মধ্যবিত্তদের জন্য বহাল রেখেছে ২ কেজি করে অর্থাৎ চার কেজি চাল এবং দরিদ্রদের জন্য ৩ কেজি করে অর্থাৎ ছয় কেজি চাল ও গম। তবে পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ায় তার উত্তাপ লেগেছে রান্নার গ্যাস ও কেরোসিন তেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২২
ভিএস/এমএমজেড