কলকাতা: বলিউড গায়ক কেকে-র মৃত্যুর পর থেকে চরমতম সমালোচিত হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী।
তিনি ক্ষমা কবে চাইবেন? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল বৃহত্তর অংশের মধ্যে।
শুক্রবার (৩ জুন) প্রকাশ্যে এলেন গায়ক, সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী চৈতালি।
এদিন কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকের প্রথমেই প্রয়াত কেকে’র পরিবারের কাছে নিঃশর্ত দুঃখপ্রকাশ করেন রূপঙ্কর ও তার পরিবার।
তারপর বলেন, বিতর্কিত লাইভের অংশটি ফেসবুক পেজ থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। কেকে-র প্রতি তার ব্যক্তিগত আক্রোশ নেই। তার বক্তব্য ছিল দর্শকের উন্মাদনা নিয়ে। কিন্তু নিজের বক্তব্য গুছিয়ে বলতে পারেননি বলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে, জানান রূপঙ্কর।
গায়কের ক্ষমা চাওয়া হলেও ছবিটা কিন্তু এখনও বদলায়নি। দেখা গেছে, এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে রূপঙ্কর তার লিখিত বক্তব্য সম্পূর্ণ পাঠ করেন। যে প্রেস বিবৃতিটা সাংবাদিকের দেওয়া হয়েছিল। বক্তব্যর নিচে ছিল তার সই।
এদিন নিজের লিখিত বিবৃতি পড়া ছাড়া সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি রূপঙ্কর। সম্ভবত তাতে গায়কের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। সে কারণে সামাজিক মাধ্যমের তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও গায়ক অনেক কমেন্টস ডিলিটও করে দিয়েছেন।
রূপঙ্করের পেজে গিয়ে তারা লিখেছেন, ক্ষমা বিষয়টা মন থেকে আসে। ক্ষমা প্রার্থনা কখনও স্ক্রিপ্ট দেখে হয় না।
আপনার আবৃত্তিটার জন্য পুরস্কার দেওয়া উচিত। অনেকে আবার রূপঙ্করের দুঃখপ্রকাশকে ‘নাটক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সেসব ব্যক্তিদের ধারণা, সমালোচনায় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বলেই এই দুঃখপ্রকাশ করছেন রূপঙ্কর। তার ক্ষমা চাওয়া বা দুঃখপ্রকাশে কারো মন গলেনি বলে অনেকে জানান।
কেউ আবার লিখেছেন, পরীক্ষায় কী এভাবে দেখে লিখতেন? সাংবাদিক বৈঠকে রূপঙ্করের করুণ চেহারা দেখে ব্যঙ্গ একজন জানতে চেয়ে লিখেছেন, এটা কি কুমিরের কান্না? আবার কারো মন্তব্য, দ্বিতীয়বার যাতে আর ভুলভাল কথা বলে না ফেলেন তার জন্য এবার লিখে এনেছেন। কেকে-কে নিয়ে বিতর্কিত ভিডিও তিন দিন পরে ডিলিট করায় রূপঙ্করকে নিয়ে একজন লিখেছেন, মুছে দিলেন কেন? থাকলে তো ফেসবুক থেকে আপনার অর্থোপার্জন হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২২
ভিএস/এএটি