কলকাতা: বয়স মাত্র কয়েক মাস। তার মধ্যেই বড়োসড়ো সাফল্যের পালক পেল ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব।
এদিন দুপুরে প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাদের পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ক্লাবের সদস্যরা তাদের হাতে তুলে দেন বই ও কলকাতার প্রসিদ্ধ মিষ্টি।
রহুল আমিন বলেন, ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের আতিথিয়তায় আমি আপ্লুত। একটা নতুন ক্লাব গঠন করেছেন। আপনাদের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ। আগামী দিনে এ ক্লাবের অগ্রগতি এবং উন্নয়নে সব প্রকার সহযোগিতা ও পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি তার আবেদন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ ও রোগী যারাই ভারতের আসেন তাদের প্রতি ক্লাব যাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় চলাকালীন তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে আবাহনী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামাল। যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে যুব সমাজকে একত্রিত করতে আধুনিক ফুটবল প্রবর্তন করেছিলেন। আধুনিক স্পোর্টস প্রবর্তন করেছিলেন। ক্রীড়া জগতে আধুনিক সংস্কৃতি প্রবর্তন করেছিলেন। তার এ অনুপ্রেরণাকে বুকে ধারণ করে দীর্ঘদিন ধরে স্পোর্টস ও ফুটবল নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন স্পোর্টস অঙ্গনে কাজ করে চলেছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও কাজ করে চলেছি এবং ক্যাপ্টেন শেখ কামালের নাম আন্তর্জাতিকভাবে গোটা বিশ্বের কাছে ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। ফুটবলের পাশাপাশি তিনি সাঁতার-দাবা খেলাসহ বিভিন্ন স্পোর্টস অঙ্গনের প্রসারে কাজ করে চলেছেন।
রহুল আমিন বলেন, আমরা শেখ কামালকে অনুপ্রেরণা মনে করি। আর সে কারণে বর্তমান প্রজন্মদের বেশি বেশি খেলার মধ্যে মনোনিবেশ করার সহযোগিতা করছি। যাতে সামাজিক অবক্ষয় অনেকটাই রোধ করা যায়।
এর সঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে উত্তোরত্তর শ্রী বৃদ্ধি করছে, এ ধারাবাহিকতা যদি চলমান থাকে তবে বাংলাদেশ ও ভারত দুদেশই উপকৃত হবে। দুদেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সহবস্থান বজায় রাখার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বলেও মনে করেন রহুল আমিন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ভারত আমাদের প্রকৃত বন্ধু। বাংলাদেশ যে স্বাধীনতা পেয়েছে, যে লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছে, তাতে ভারতের অবদান ও সহযোগিতা ছিল। তাই ভারতে বিশেষ করে কলকাতায় যদি বাংলাদেশ কেন্দ্রিক কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় তার সঙ্গে আমি আছি।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড পান তরফদার মো. রুহুল আমিন।
এর পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠক সিরাজ উদ্দিন আলমগীর বলেন, ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব গঠনটি এটা একটা অসাধারণ উদ্যোগ। বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীরা যারা কলকাতায় আসেন তারা অনেক সময় সমস্যায় পড়েন। এ ধরনের ক্লাব থাকলে তারাও একটু মনে বল পাবেন। আপনারাও সহযোগিতা করবেন। দু’দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের যেমনি মতবিনিময়-যাতায়াত বাড়বে, এতে দু’পক্ষই লাভবান হবে।
অনুষ্ঠান শেষে দুজনই ক্লাবের খুঁটিনাটি বিষয় জানতে চান এবং তাদের মূল্যবান মতামত দেন। তাদের মতে মত জানিয়ে প্রেসক্লাবের তরফে মুখপাত্র বলেন, দুদেশের সাংবাদিকদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলা ও সহযোগিতা করার জন্যই ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
ভিএস/আরবি