কলকাতা: একইসঙ্গে ভারতের গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশের ভোট ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাঁচ বছর আগের ধারা বজায় রেখে শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) শুধু হিমাচল প্রদেশেরে ভোটের তফসিল ঘোষণা করলো দেশটির নির্বাচন কমিশন।
এদিন নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ঘোষণা দিয়েছেন, হিমাচল প্রদেশের ৬৮টি বিধানসভা আসনে এক ধাপেই নির্বাচন হবে। গণনা হবে ডিসেম্বরের ৮ তারিখ।
কমিশনার বলেছেন যে, আমরা চাই না পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য চলুক। আদর্শ আচরণবিধির মেয়াদ কমিয়ে ৫৭ দিন করা হয়েছে। তবে জল্পনা উসকে রেখে কমিশন এদিন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের সময়সূচী ঘোষণা করেনি।
হিমাচলের এবার ৫৫ লাখেরও বেশি ভোটার রয়েছে। যার মধ্যে ১ দশমিক ৮৬ লাখ মানুষ প্রথমবার ভোট দেবেন। এছাড়া ১ দশমিক ২২ লাখ ভোটারের বয়স আশি বছরের বেশি। মোট ৭ হাজার ৮৮১টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে, যার মধ্যে ১৪২টি কেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে মহিলা দ্বারা পরিচালিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দশক ধরেই রাজ্যটিতে ক্ষমতার পালাবদলের রাজনৈতিক ধারা রয়েছে। ২০১৭ সালে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে মোদীবাহিনী। ৬৮ আসনের মধ্যে বিজেপি ৪৪ এবং কংগ্রেস ২১টি আসনে জিতেছিল। সিপিএম ১ এবং নির্দল প্রার্থীরা ২টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন সে সময়।
তবে এবারও হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে গুজরাত বিধানসভার দিনক্ষণ ঘোষণা হল না। কেন এই বিলম্ব? মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, ওই রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ শেষের ব্যবধান এবং আবহাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল। সময় রয়েছে, ফলে খুব শিগগিরই গুজরাট বিধানসভা ভোটের সময়সূচী ঘোষণা হবে। ২০১৭ সালে ৯ এবং ১৪ ডিসেম্বর দু’দফায় গুজরাটে বিধানসভা ভোট হয়েছিল। ওই সময় হিমাচলের ভোট ঘোষণার দু’সপ্তাহ পরেই মোদী-শাহদের রাজ্য অর্থাৎ গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন ও গণনার তারিখ ঘোষণা হয়েছিল।
গুজরাট বিধানসভার মেয়াদ আগামী বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। বর্তমানে রাজ্যটিতে ১৮২ বিধানসভা আসনের মধ্যে ১১১ জন বিজেপি এবং ৬২ জন কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছেন। তবে এবার গুজরাটে বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসের পাশপাশি অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমির পার্টির দিকে চোখ থাকবে ভারতবাসীর। তাদের ক্ষমতা দিনকে দিন বিস্তার হচ্ছে রাজ্যটিতে। যদিও গতকাল অমিত শাহ এক জনসভায় বলেছেন, পূর্ণ শক্তি নিয়ে গুজরাটে আবার ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের এক তৃণমূল নেতার হুঙ্কারে অমিত শাহ বলেছেন, তাই ফল বিপরীতেও যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের ২১ সালের নির্বাচনে ২০০ আসন নিয়ে বিজেপি সরকারে আসবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। ফল সবার জানা। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলা আর হিন্দিবলয় এক সমীকরণে চলে না। ফলে আসন্ন দুই রাজ্যের বিজেপির পাল্লা অনেকটাই ভারী। তবে এই দুই রাজ্যে পালাবদল হলে মমতাকে অনেটাই স্বস্তি দেবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
ভিএস/এনএটি