কলকাতা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে ঘৃণাসূচক ভাষণের অপরাধে রাজ্যটির সমাজবাদী পার্টির নেতা সাবেক মন্ত্রী আজম খানের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার(২৭ অক্টোবর) দুপুরে উত্তর প্রদেশের স্থানীয় আদালত আজম খানকে দোষী সাবস্ত্য করেন।
এদিন বিকেলেই তার সাজা ঘোষণা হয়। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের জেলের সাজা হলে সাংসদ বা বিধায়কদের পদ খারিজ হয়। ফলে বৃহস্পতিবারই সেই আইন অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ হওয়ার কথা রামপুরের বিধায়ক আজম খানের।
তবে, শুধু আজম খানই নন। তার সঙ্গে আরও দুই ব্যক্তিকেও একই কারণে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে রামপুর আদালত। সঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার রুপি করে জরিমানাও করেছে। বছর তিনেক আগে লোকসভা নির্বাচনের সময় আজম খানের বক্তৃতার জন্য তার বিরুদ্ধে ঘৃণাসূচক বক্তৃতার মামলা দায়ের হয়েছে।
গত লোকসভায় নির্বাচনের সময় বক্তৃতা দিতে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে আজম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতে এমন এক অবস্থা তৈরি করেছে তাতে মুসলিমরা অস্তিত্ব রক্ষার সংকটে পড়েছে। পাশপাশি লোকসভা নির্বাচনে প্রচারণা চলাকালীন সময়ে আজম খান অভিযোগ করেন, বিজেপির শাসনাকালে মুসলমানরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেই বক্তব্য সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক ছিল বলেই বিভিন্ন মহলের মত। সেই অভিযোগেই খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল উত্তর প্রদেশের রামপুর জেলা আদালতে। মুলায়ম সিং যাদব সমাজবাদী পার্টির প্রধান থাকাকালীন আজম খান ছিলেন সমাজবার্দীর অন্যতম বড় নেতা। তাকে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলা হয়।
আজম খানের বিরুদ্ধে এখনও প্রায় ৯০টি মামলা রয়েছে। সেই সব মামলার অনেকগুলোই রাজনৈতিক মামলা নয়। এমনকি, চুরি করা, তহবিল তছরুপ করা, জমি দখল, জেলা শাসকের মাকে কথা বলার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া একাধিক দুর্নীতির মামলাও রয়েছে উত্তরপ্রদেশের এই সংখ্যালঘু নেতার বিরুদ্ধে।
উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির শাসনের সময় আজম খান বরাবরই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসতেন। এমনকি, তার মন্তব্যের জন্য পরিবারের মধ্যে থেকেও তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। আজম খান নারীদের প্রতিও স্পর্শকাতর বক্তব্যের জেরে বারবার সংবাদ শিরোনামে এসেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭ অক্টোবর, ২০২২
ভিএস/ইআর