ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হচ্ছেন ড. সিভি আনন্দ বোস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হচ্ছেন ড. সিভি আনন্দ বোস

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হচ্ছেন ড. সিভি আনন্দ বোস। সাবেক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ইস্তফার পর চার মাস অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে রাজ্যের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন লা গণেশন।

ড. সিভি আনন্দ বোস একজন সাবেক আইএএস অফিসার। ভারতের প্রশাসনে নানা সময় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। তাকেই এবার বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো।

দেশটির রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সিভি আনন্দ বোসকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করেছেন রাষ্ট্রপতি। তার দায়িত্ব গ্রহণের দিন থেকেই নির্দেশ কার্যকর হবে।

১৯৫১ সালে ২ জানুয়ারি ভারতের কেরালা রাজ্যের কোয়াট্টামে জন্ম সিভি আনন্দ বোসের। শিক্ষাজীবনে বিশ্ববিদ্যালয়ে একশোটিরও বেশি পদক পেয়েছেন। যার মধ্যে ১৫টি স্বর্ণপদক। তিনি ১৯৭৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার। নানা সময়ে তিনি ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিব পদে কাজ করেছেন। তার ভাবনা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে কাজে লাগানো হয়েছে। বিশেষ করে ভারতে সবার জন্য পাকা বাড়ির ভাবনা মোদী নিয়েছিলেন তার কাছ থেকেই। রাষ্ট্রপুঞ্জের হ্যাভিটাট গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যও ছিলেন। ছিলেন সার্নের প্রতিনিধি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের দায়িত্বও পালন করতেও দেখা গেছে তাকে। পেয়েছেন ২৯টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

রাজ্যপালের দায়িত্ব পেয়েই ড. সিভি আনন্দ বোস প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমি খুবই আনন্দিত ও সম্মানিত। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। ভারতীয় সংবিধান রক্ষায় ও বাংলার কল্যাণের স্বার্থে কাজ করব। পাশাপাশি তার সঙ্গে যে বাংলার সম্পর্ক আছে তা বোঝাতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেছেন, বাংলার সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। বিশেষ করে কলকাতার সঙ্গে। কর্মজীবনের শুরুতে আমি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার দায়িত্ব নিয়ে কলকাতায় কাটিয়েছি। বাংলা অল্প অল্প জানি। প্রতিদিন বাংলা শব্দ শেখার চেষ্টা করব।

২০১৯ সালের জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। তারপর থেকে নানা ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজভবনের তীক্ততা লেগেই থাকত। মমতা প্রশাসনের নানা সিদ্ধান্ত ও কাজের নিন্দায় মুখর ছিলেন সাবেক রাজ্যপাল। চলতি বছরের জুলাইতে রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেন ধনকড়। অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে আসেন লা গণেশন।

তৃণমূল সংসদ সদস্য সৌগত রায়ের অভিমত, এখনই আমাদের ওনাকে নিয়ে কিছু বলার নেই। কাজ না করলে উনি কেমন তা বোঝা যাবে না। আশা করব ধনকড়ের মতো কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলাবেন না। রাজ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেছেন, এ রাজ্য শাসকের ত্রাসে গণতন্ত্র ধ্বংসের মুখে। সংবিধান যাতে রক্ষা পায় আশা করব সেটাই উনি দেখবেন। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, বাংলায় গণতন্ত্র বাঁচুক, উনি তার রক্ষক হবেন, সেটাই পশ্চিমবঙ্গবাসীর আশা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২২
ভিএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।