এবারে নকিয়াকে ভালোভাবেই টপকে গেল স্যামসাং। এ বছর প্রথম ত্রিমাসিকে স্মার্টফোনের বিক্রির রেকর্ডে শীর্ষে উঠে এসেছে স্যামসাং।
শুধু মোবাইল ফোননির্মাতা নকিয়াকে নয়, অপ্রতিরোধ্য অ্যাপলকেও স্মার্টফোন বিক্রির রেকর্ডে ছাড়িয়ে গেছে স্যামসাং।
এ ছাড়াও মেমোরি চিপ তৈরিতে স্যামসাং শীর্ষ অবস্থানেই আছে। এ ব্যবসায় এ বছরের গত ত্রিমাসিকে ৪৫০ কোটি ডলারের রেকর্ড আয় ঘরে তুলেছে স্যামসাং। এটি মোবাইল শিল্প ব্যবসার জন্য একটি দারুণ ইতিবাচক রেকর্ড।
তবে সব মিলিয়ে হ্যান্ডসেট বিক্রিতে রেকর্ড না গড়লেও, স্মার্টফোনে ২০১১ সালে প্রথম ত্রিমাসিকের পুরোটা সময়ে স্যামসাংই দাপট চালিয়েছে। আর ধরাশায়ী করেছে নকিয়া আর অ্যাপলকে। এ তিন স্মার্টফোন নির্মাতার টানটান লড়াইয়ের বার্তাটা আগামই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।
গত ১৪ বছরের ইতিহাসে নকিয়াকে কখনই পেছনে ফেলতে পারেনি স্যামসাং। এবারে তাই একেবারে ১৪ বছরের রেকর্ডকেই ভেঙে দিল স্যামসাং। শীর্ষ থেকে নামল নকিয়া।
এ ছাড়াও বিক্রির রেকর্ডে এ বছরের প্রথম ত্রিমাসিকে ৮ কোটি ৩০ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি করেছে নকিয়া। এ সময়ে স্যামাসং ৯ কোটি ৩৫ স্মার্টফোন বিক্রি করে নকিয়াকে টপকে গেছে।
আরেকটি গবেষণা এবং তথ্য সূত্র জানিয়েছে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে অ্যাপল ৩ কোটি ৫০ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি করেছে। একই সময়ে স্যামসাং বিক্রি করেছে ৪ কোটি ৪৫ লাখ স্মার্টফোন।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রোয়ার উপদেষ্টা প্রধান কিম জিন ইয়াঙ্গ জানান, গত ত্রিমাসিকে স্যামসাং দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে। লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আর তা পূরণও করেছে। একে বলে বাজিমাত করা। এমনকি স্মার্টফোনের জায়ান্ট অ্যাপলকেও হার মানিয়েছে স্যামসাং।
এক কথায় স্মার্টফোনের বিশ্ববাজারে ‘গ্যালাক্সি’ সিরিজ দিয়ে আধিপত্য বিস্তার করেছে স্যামসাং। এ ছাড়াও এলসিডি, এলইডি এবং ঘরোয়া ইলেকট্রনিক পণ্য ব্যবসায়ও শক্তিশালী বাজারে অবস্থানে আছে স্যামসাং।
সাফল্য আর ব্যবসার এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আগামী সপ্তাহেই নতুন গ্যালাক্সি অবমুক্ত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্যামসাং। বছরের দ্বিতীয় ত্রিমাসিকেও স্যামসাংয়ের সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে। এমনটাই বলছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
বাংলাদেশ সময় ১৬৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১২