বিশ্ব আজ পরিবেশ বিপর্যয়ে হুমকির মুখে। পরিবেশবাদীরা পরিবেশে ক্ষতিকর পদার্থের অবাধ ব্যবহার রোধ ও সচেতনতামুলক কার্যক্রমে সোচ্চার হচ্ছেন।
অভিযোগের এ সুদীর্ঘ তালিকায় নাম উঠেছে বিশ্বসেরা প্রযুক্তিপণ্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপল, অ্যামাজন এবং মাইক্রোসফটের নাম। এক্ষেত্রে সোশ্যাল সাইট ফেসবুক পরিশোধিত শক্তি ব্যবহারে সুনাম অর্জন করেছে।
পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক গ্রুপ ‘গ্রিনপিস’ এর প্রতিবেদনে অ্যাপল, মাইক্রোসফট এবং অ্যামাজনের বিরুদ্ধে অপরিচ্ছন্ন শক্তি দিয়ে ক্লাউড পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে তাদের সার্ভারের বেশিরভাগ শক্তির উৎসই অপরিচ্ছন্ন এবং পরিবেশ দুষণীয় বলে অভিযোগ আছ। অ্যাপলের প্রয়োজনীয় মোট শক্তির প্রায় ৫০ ভাগেরই উৎস হচ্ছে কয়লা।
গ্রিনপিস এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনায় শঙ্কিত। তাদের এ ধরনের পরিবেশ বিপর্যন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রতিবেদনের প্রধান উদ্বেগের বিষয়, এসব বৃহদায়তন কমপিউটিং ভান্ডারে সঞ্চিত হচ্ছে প্রাকৃতিক শক্তি।
গ্রিনপিস অভিযোগের সুরে জানিয়েছে, অ্যাপল, মাইক্রোসফট এবং অ্যামাজন নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস-বাতাস, সূর্যশক্তির বিপরীতে জ্বালানী হিসেবে কয়লা ব্যবহার করছে। সমজাতীয় কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের কাজের একই ধরনের অংশে অবিরাম প্রচুর পরিমানে শক্তি ব্যয় করে শক্তিশালী একাধিক দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সার্ভার চালায়।
প্রতিবেদনে ‘অ্যামাজন ক্লাউড ফার্মের’বরাতে জানানো হয়, মোট প্রয়োজনীয় শক্তির মাত্র ১৩.৫ ভাগ পরিচ্ছন্ন উৎস থেকে আসে। মাইক্রোসফট এ দিক থেকে কিছুটা এগিয়ে। তাদের পরিচ্ছন্ন শক্তির পরিমাণ ১৩.৯ ভাগ। এদিকে অ্যাপলের ক্লাউড সার্ভিসের ৮৫ ভাগ ক্ষতিকর শক্তি উৎসের ওপর নির্ভরশীল। প্রয়োজনীয় শক্তির অর্ধেকের বেশি কয়লা ব্যবহারে অ্যাপলকে সংশোধনে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
এরই মধ্যে অ্যাপল গ্রিনপিসের তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়কে অসত্য বলে দাবি করেছে। দক্ষিণ ক্যারোলিনা সার্ভারের প্রয়োজনীয় শক্তির ভেজাল মুক্ত উৎস সূর্য এবং জ্বালানী সেলে ৬০ ভাগ শক্তি উৎপন্ন হয়। কিন্তু অ্যামাজন এবং মাইক্রোসফট এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
অন্যদিকে গুগল ও ইয়াহুর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ সহায়ক শক্তির উৎসে অন্তর্ভূক্তের বিষয়টিকে সচেতন ও প্রশসংসার দৃষ্টিতে দেখছেন। এ ছাড়া প্রবিবেদনে ভালো অবস্থানে আছে ফেসবুক। কারণ সুইডেনের নতুন ডাটা সেন্টারের গঠনকৌশল এবং পরিচালনার প্রথম পদক্ষেপটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি পুরোপুরিভাবে নবায়নযোগ্য শক্তিতে চলতে সক্ষম।
ফেসবুক সম্পর্কে গ্রিনপিস জানিয়েছে, ব্যক্তিতথ্য নিয়ে বিতর্কিত ব্যবসায় ফেসবুক অভিযুক্ত। কিন্তু যান্ত্রিক শক্তির এ প্রক্রিয়ায় অন্তত ফেসবুক পরিবেশবান্ধব। এটা প্রশংসাযোগ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১২
সম্পাদনা: এসজেডএম/
সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর