জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার আধুনিকায়নে ওরাকল এক্সাডাটা ডাটাবেজ মেশিন এক্স টু-টু ব্যবহার করছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এ মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে কমিশন অনেকগুলো ডাটাবেজের পরিবর্তে শুধু একটি ডাটাবেজ ব্যবহার করে আগের তুলনায় অনেক কম সময়ে সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদান করতে পারছে। এ ছাড়া এ মেশিন ডাটা সিকিউরিটি বাড়িয়ে কমিশনের সার্বিক কার্যক্রমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
এ নতুন পদ্ধতিতে বাংলাদেশের প্রায় ৮ কোটি ৬০ লাখ ভোটারদের ফিঙ্গার প্রিন্ট, ফটো, সই এবং ব্যক্তিতথ্য একটি ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকছে। প্রতি বছর যে চার-পাঁচ ভাগ ভোটার বাড়বে, তাদের তথ্যও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
এক্সাডাটা মেশিন ছাড়াও কমিশন কার্যক্রমের আধুনিকায়ন এবং সার্বিক তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ওরাকলের সোয়া স্যুইট, বিজনেস ইন্টিলিজেন্স এন্টারপ্রাইজ এডিশন এবং ওরাকল ওয়েব লজিক সার্ভারও ব্যবহার করেছে।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের পিইআরপি ও এফআইএনআইডিসি প্রজেক্টের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আখতারুজ্জামান সিদ্দীকী বলেন, ওরাকলের এক্সাডাটা ডাটাবেজ মেশিন ব্যবহার কমিশনের ডাটা সিকিউরিটি নিশ্চিত করে ছাড়াও তথ্য ব্যবস্থাপনায় এবং কমিশনের সার্বিক কাজে গতি এনেছে। এ ছাড়াও এ মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় আধুনিক মানের সেবা দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশ সময় ২২১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১২