ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অশ্লীল সাইট থেকে শিশুদের সুরক্ষায় আইন

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১২
অশ্লীল সাইট থেকে শিশুদের সুরক্ষায় আইন

ঢাকা : ইন্টারনেটে অবাধে ছড়িয়ে থাকা র্পনো সাইটগুলা থেকে শিশুদের রক্ষা করতে অবশেষে উদ্যোগ নিচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার।

এ লক্ষ্য ব্রিটিশ সরকার ইতিমধ্যেই একটি পরার্মশ বৈঠকের আয়োজন করে।

বৈঠকে ইন্টারনেটে সহজলভ্য অশ্লীল সাইটগুলোতে প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ ও নজরদারি বৃদ্ধি সহ সংশ্লষ্টি সব আইএসপি প্রতষ্ঠানকে কঠিন আইনী নীতিমালার আওতায় আনার উপর জোর দেওয়া হয়। আইনের কঠোর প্রয়োগ ও সঠিক নিয়মের মাধ্যমে এ ধরনের অপকর্ম অনেকটাই প্রতিহত করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমান ধারা অনুযায়ী গ্রাহকদের ব্রডব্যান্ড সংযোগ নেওয়ার সময় কনটেন্ট নির্বাচনের সুযোগ থাকে। এর মানে হচ্ছে ব্রডব্যান্ড সংযোগ নেওয়ার সময় যারা অ্যাডাল্ট কনটেন্ট নির্বাচন করবেন তারা‍ই শুধুমাত্র ইন্টারনেটে এ ধরণের সাইটগুলোতে প্রবেশের অধিকার পাবে। কিন্তু নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের এ ব্যাপারে অবশ্যই গ্রাহকদের সচেতন করতে হবে।    

অশ্লীলতা বিরোধীরা ইন্টারনেটে বিদ্যমান এ সব সাইটগুলো নিয়ন্ত্রণের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন অপ্রাপ্তবয়সীরা সহজেই তাদের মোবাইল ফোন ও কমপিউটারের মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্কদের উপযুক্ত খুবই খোলামেলা এই সাইটগুলোতে প্রবশে করতে পারে।

ইন্টারনেটে অ্যাডাল্ট সাইটগুলোর সহজলভ্যতার ঘটনায় অভিভাবকরাও অত্যন্ত চিন্তিত। তাদের শিশুরা যেন এসব সাইটে প্রবশে করতে না পারে তার জন্য সঠিক নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।  

এদিকে এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন দেশের বড় বড় ইন্টারনেট সার্ভিম প্রোভাইডার কোম্পানির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতিমালা প্রসঙ্গে আলাপ করছেন। যদিও ক্যামেরন মনে করছেন ইন্টারনেটে পর্নো সাইটগুলো নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য। কারণ এসব সাইট থেকে বছরে আয় হয় ৩’শ কোটি ডলারেরও বেশি।

এদিকে রক্ষণশীল দলের এমপি ক্লেয়ার প্যারি এ অবস্থার জন্য আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চরমভাবে দোষারোপ করে বলেন তারা এ ধরণের অনৈতিক কার্য্যক্রমে সাহায্য করছে।    

তবে ইংল্যান্ডের প্রাইভেসি অ্যান্ড সিভিল লিবার্টিস ক্যাম্পেইন গ্রুপ বিগ ব্রাদারের পরিচালক নিক পিকল বলেন এ ধরণের উদ্যোগ ইতিবাচক, তবে এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন করার ওপর সরকারকে জোর দিতে বলেন তিনি। তিনি বলেন সরকারের ‌উচিৎ ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর না দিয়ে এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন করতে গুরুত্ব দেওয়া।

এদিকে টকটক নামে যুক্তরাজ্যের একটি অন্যতম আইএসপি পরিসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান ডিডো হার্ডিং বলেন এ ধরণের স্পর্শকাতর বিষয় তদারকির জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে তারা অবশ্যই স্বাগত জানাবেন।  

এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে যুক্তরাজ্যের ৯২ ভাগ বাসা বাড়িতে শিশুরা একাধিক ইন্টারনেট ব্যবহার উপযোগী ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য ব্যবহার করে থাকে। এজন্য ডিডো হাডিং বলেন শিশুদের ইন্টারনেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দূরে রাখতে তাদের অভিভাবকদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। তারা যদি তাদের বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার সময় অ্যাডাল্ট কনটেন্ট পরিহার করেন তবে অনেকটাই এ ধরণের আশঙ্কা থেকে মু্ক্ত থাকা সম্ভব বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদশে সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।