একই ধরনের সেবা প্রবর্তনের মাধ্যমে অবশেষে সোশ্যাল গুরুও অ্যাপল, অ্যামাজন, মাইক্রোসফটের মতো বিশ্বের সেরা তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সারিতে নাম লিখিয়েছে। যাদের নিজস্ব অ্যাপ স্টোর আছে।
এ মুহূর্তের সোশ্যাল গুরু ফেসবুকের অধিক প্রত্যাশার এ সেবাকে ‘অ্যাপ সেন্টার’ নামে অভিহিত করা হচ্ছে। এটি মাল্টি-প্লাটফর্ম ডাউনলোড অ্যাপস। নতুন এ অ্যাপস ভান্ডার নিয়ে ফেসবুকের প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী।
আসন্ন অ্যাপ সেন্টারে কেবল ব্রাউজারভিত্তিক ফেসবুক অ্যাপলিকেশন ফিচারই থাকছে না, আরও থাকছে এ বৈশিষ্ট্যের সফটওয়্যার। এটি ডেস্কটপ এবং মোবাইল ফোনে ব্যবহারযোগ্য।
তথ্য মতে, অ্যাপ সেন্টারের বিষয়গুলোতে নি:সন্দেহে সোশ্যাল আবহের মিশ্রণতা থাকছে। ফেসবুক এ সেবা প্রসঙ্গে জানিয়েছে, এ মুহূর্তে ফেসবুকে বিদ্যমান অ্যাপসের গুণগত মান বাড়ানো হবে। এর মধ্যে আছে পিনটারেস্ট, স্পটিফাই, ব্যাটেল পাইরেটস এবং বাবল উইচ সাগা।
এ ছাড়া নতুন অ্যাপস অন্তর্ভূক্তের চেয়ে বরং বিদ্যমান অ্যাপসের মানোন্নয়নে নজর দেওয়ার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে। কিন্তু ফেসবুকের ভাষ্য মতে, ধারণা করা যাচ্ছে সীমিত সংখ্যক ব্যবহারকারীর জন্য সফটওয়্যার ছাড়া হবে।
এদিকে মোবাইল অ্যাপ সেন্টারে ব্রাউজ করা এবং সেগুলো নিজ পণ্যে রাখতে চাইলে অ্যাপ স্টোর অথবা গুগল প্লের মতো একই পদ্ধতিতে ডাউনলোড করতে পারবে ব্যবহারকারীরা।
৯০ কোটি গ্রাহকভিত্তিক এ সেবা নিয়ে ফেসবুক দৃঢ় আশাবাদী। এ কেন্দ্রের সেবা অচিরেই ভক্তদের নাগালে পৌছানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে প্রাকপ্রদর্শিত সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে। তাই আগ্রহীরা অনলাইনে আসন্ন অ্যাপ সেন্টার সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে পারবে।
বাংলাদেশ সময় ১৩৫৮ ঘন্টা, মে ১২, ২০১২
সম্পাদনা: এসজেডএম/
সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর