ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশনের পরিমাণ সহনীয় মাত্রার নিচে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশনের পরিমাণ সহনীয় মাত্রার নিচে

ঢাকা: মোবাইল টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে যেসব আন্তর্জাতিক নীতিমালা মেনে চলা হয় বাংলাদেশের সব অপারেটর তা মেনে চলে। বিটিআরসি সময়ে সময়ে দেশ জুড়ে এসব টাওয়ারের রেডিয়েশনের পরিমাণ পরিবীক্ষণ করে এবং যে ফল পেয়েছে তাতে দেখা গেছে যে, তা সহনীয় মাত্রার নিচে।

ফলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

শনিবার (২০ মে) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টারস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত এক গোলটেবিলে বক্তারা এ কথা বলেন।  

তারা আরও জানান, আমাদের বাড়িতে নিত্য ব্যবহার্য মোবাইল ফোন, রাউটার, রেডিও, মাইক্রোয়েভ ওভেন ইত্যাদিতে যে ধরনের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ ব্যবহার করা হয় মোবাইল টাওয়ারেও তেমন তরঙ্গই ব্যবহার করা হয়। আমাদের মনে রাখা দরকার যে, বাংলাদেশে যে ধরনের মোবাইল টাওয়ার ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করা হয় দুনিয়ার আর সব দেশেও ঠিক একই ধরনের যন্ত্রই ব্যবহার করা হয়।

বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার এবং আলোচনায় সরকারি নীতি নির্ধারকরা ছাড়াও অংশ নেন মোবাইল খাত ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির উপ-পরিচালক ডক্টর সামসুজ্জোহা। আলোচনা সঞ্চালন করেন টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদী।  

এসময় জানানো হয়, রাজধানীর অন্তত তিনশটিরও বেশি স্থানে মোবাইল সাইট স্থাপন করা যাচ্ছে না যেগুলো জরুরি। এই ভীতি কাটিয়ে উঠানোর জন্য সচেতনতা বাড়ানো দরকার। আমরা উচ্চমানের মোবাইল সেবা চাই কিন্তু সাইট বসাতে দিচ্ছি না। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ধরনের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই এমন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। উন্নতমানের সেবা প্রাপ্তির জন্য বক্তারা মোবাইল সাইট বিস্তারে সহযোগিতা করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।  

বক্তারা আরও বলেন, অনেকেই অবৈধভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কে জ্যামার, রিপিটার, বুস্টার লাগাচ্ছেন। এসব স্থাপন করা যাবে না। এগুলো অবৈধ। এসবের কারণেও নেটওয়ার্কের ক্ষতি হচ্ছে। গ্রাহকেরা নিজেরাই ঠিকমত সেবা পাচ্ছেন না। অপারেটরদের হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা তরঙ্গ ব্যবহারে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রেডিয়েশন মূলত দুই প্রকারের হয়- আয়োনইজড এবং নন আয়োনাইজড। অতি বেগুনি রশ্মি, গামা রশ্মি, এক্স রে ইত্যাদি হল আয়োনাইজড যা মানব দেহের ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু মোবাইল ফোন, মোবাইল টাওয়ার, রাউটার এসব হলো নন আয়োনাইজড। এতে ক্ষতিকর কিছু নেই। অথচ এই কাল্পনিক ভীতির কারণে মানুষ মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে বাধা প্রধান করছে। সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে ভবনে স্থাপিত টাওয়ার সরিয়ে নিতে হচ্ছে।  

আলোচনায় অংশ নেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল আলম, বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এহসানুল কবির, মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি এফেয়ারস অফিসার তাইমুর রহমান, রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, গ্রামীণফোনের করপোরেট এফেয়ারস বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাত, হেড অফ নেটওয়ার্ক সলিউশন্স মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা এবং এরিকশন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আবদুস সালাম, নকিয়া বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড আরিফ ইসলাম, হুয়াওয়ে লিমিটেড বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল মার্কেটিং ম্যানেজার এস এম নাজমুল হাসান, টাওয়ার কোম্পানি ইডটকোর হেড অফ রেগুলেটরি এফেয়ারস মাসুদা হোসেন, এমটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ (অবঃ) প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
এমআইএইচ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।