ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বছরে ৬৩০০ কোটি ডলারের পাইরেসি

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১২
বছরে ৬৩০০ কোটি ডলারের পাইরেসি

বিশ্বজুড়েই সফটওয়্যারের বাজার বাড়ছে। সমতালে বাড়ছে সফটওয়্যার পাইরেসিও।

তবে তুলনামূলকভবে পাইরেসির প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞদের ভাষায় আশঙ্কাজনক। ২০১১ সালে বিশ্বব্যাপী ৬ হাজার ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের সফটওয়্যার পাইরেসি রেকর্ড হয়। বিজনেস সফটওয়্যার অ্যালায়েন্স (বিএসএ) সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

২০১০ সালে পুরো বিশ্বে সফটওয়্যার পাইরেসির পরিমাণ ছিল ৫৯ কোটি ডলার (প্রায়)। এটি গত বছরের তুলনায় ৮ ভাগ বেশি। বিএসএ সূত্র বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে।

এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের নব্য অর্থনীতিতে (ইমার্জিং এশিয়া) পাইরেসির পরিমাণ বেড়ে ৬৮ ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে। আর বিশ্বের হিসাবে বেড়েছে ৪২ ভাগ। আর দূর্বল অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানে এসে পাইরেসি হার ২৪ ভাগ। এ তথ্য-উপাত্ত নির্বাচনে ৩৩ বাজারের ১৫ হাজার কমপিউটারের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়।

এখনও বিশ্বের ৮২ বাজার দখরে রেখেছে পারসোনাল কমপিউটার (পিসি)। উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলোতে পিসি এখনও চালকের আসনে। এ ধারায় সফটওয়্যার পাইরেসি এগিয়েছে সবচেয়ে বেশি। গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়েও এ তথ্যচিত্র এমনই নিদের্শ করে।

নব্য অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য পাইরেসি সফটওয়্যারের চাহিদা অনেক বেশি। এতে করে প্রকৃত সফটওয়্যার ব্যবহার না করায় অনেক ধরনের ভোগান্তিতে পড়ের গ্রাহকরা।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চীনে ২০১১ সালে ৯০০ কোটি ডলারের পাইরেসির বাজার আছে। এ তুলনায় প্রকৃত সফটওয়্যার ব্যবহারের আর্থিক পরিমাণ ২৬৫ কোটি ডলার মূল্যমানের।

সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হচ্ছে বিশ্বের খ্যাতনামা সফটওয়্যার নির্মাতাদের দেশ যুক্তরাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি পাইরেসি সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়। আর্থিক হিসাবে এর পরিমাণ ৯৮০ কোটি ডলার।

আর প্রকৃত সফটওয়্যার ব্যবহারের দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে আসে। এর পরিমাণ ৪ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। তবে পিসির অগ্রগতিতে শীর্ষে আছে এশিয়া। এ অঞ্চলে পিসির প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগেরও বেশি। এ তুলনায় পাইরেসি কমে মাত্র এক ভাগ। কথাগুলো জানালেন বিএসএ গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ পরিচালক রোল্যান্ড চ্যান।

 
এ খাতে প্রতিটি দেশের সরকারের উচিত ব্যক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য নিরাপত্তার স্বার্থে এবং পিসির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পাইরেসি হারকে নিরুৎসাহিত করা। একেবারে নিচে নামিয়ে আনা।

ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক সফটওয়্যার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ‘বিএসএ’ কপিরাইট নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দিয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যাপল, মাইক্রোসফট, সিমেনটেক এবং অ্যাডোবের মতো প্রতিষ্ঠানের কপিরাইটের গবেষণায় পরামর্শ এবং জরিপ পরিচালনা করে।

সব মিলিয়ে সফটওয়ার পাইরেসি এ সুবিশাল অঙ্কের বিপরীতে প্রকৃত সফটওয়্যারের চাহিদা এবং উপস্থিতি নিতান্তই সামান্য। এ জন্য সরকার এবং ব্যক্তি দু পক্ষকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। তা না হলে একে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ সময় ২১৪২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।