শুধু সামাজিক যোগাযোগ নয়, বিশ্বব্যাপী চাকরি আর আয়ের সুযোগও তৈরি করেছে ফেসবুক। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নতি আর চাকরির সুযোগও করছে ফেসবুক।
এ মুহূর্তে ফেসবুকের জন্য হাজার হাজার অ্যাপ চাহিদা তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে টিকে থাকতে এটাই এখন মূল কৌশল। ৯০ কোটি গ্রাহককে সামাজিক যোগাযোগে বেঁধে রাখতে অ্যাপের সহজ কোনো সমাধান নেই।
এখন ফেসবুক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন এবং পণ্য প্রচারে দারুণ এবং তাৎক্ষণিক ভূমিকা রাখছে। এতে ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থাপনায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বাজার বিজ্ঞাপনে ফেসবুক তাই নতুন গণমাধ্যম।
এ ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড গবেষণায় ফেসবুক ‘অ্যাপ ইকোনমি’ নামে নতুন অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী ১ লাখ ৮২ হাজার কাজের সুযোগ তৈরি করেছে ফেসবুক। অর্থের হিসাবে এ খাতের আয় ১ হাজার ২১৯ কোটি ডলার। এটি গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে খানিকটা হলেও চাঙ্গা করেছে।
আরেক গবেষণা সূত্র জানিয়েছে, ১৫ কোটি গ্রাহক সীমা অতিক্রম করার পরই ফেসবুকের বাণিজ্যিক গুরুত্ব বাড়তে থাকে। এতে বিনিয়োগ করতে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে।
এ মুহূর্তে ফেসবুকের নিজস্ব সাড়ে তিন হাজার কর্মী আছে। আর বিশ্বের ২৫ লাখ ওয়েবসাইট ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত আছে। অর্থাৎ এসব অনলাইন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফেসবুকে বিজ্ঞাপনী সম্পর্ক আছে। আর ফেসবুকে প্রতিদিন ২ কোটি অ্যাপ আপলোড হয়। এর মধ্যে ফার্মভিল এবং স্পটিফাই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
শুধু যোগাযোগ নয়, ব্যবসা যোগাযোগেও নতুন ধারণা দিয়েছে ফেসবুক। আর এ পথের পথিক হয়েছে অনেকেই। তাই ডিজিটাল ব্যবসায় এসেছে নতুন গতি আর অবারিত সম্ভাবনা।
বাংলাদেশ সময় ২১৫২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১২