আগামী ৯ জুলাই বিশ্বের অনেক ইন্টারনেট ভক্ত এ মাধ্যম থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে গুগল।
বিশ্বের সব ধরনের কমপিউটার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ অনলাইনের কমজোর কিছু বিজ্ঞাপনে ঢুকে পড়ে, তখন থেকে এ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এ অবস্থায় এফবিআই অত্যন্ত নজিরবিহীন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের এ সরকারি তদন্ত কমিশন (এফবিআই) আক্রন্ত সব কমপিউটারে ইন্টারনেট বিপত্তি প্রতিহত করার লক্ষ্যে কমাস আগে সরকারি কমপিউটারের মাধ্যমে নিরাপত্তা নেট স্থাপন করে। কিন্তু জুলাইয়ের ৯ তারিখে নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি বন্ধ করা হবে বলে জানিয়ে দেয় এফবিআই।
তাই এফবিআইয়ের পক্ষে কমাসের জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু হয়। এখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। এতে তারা অবগত হতে পারবেন তাদের কমপিউটার আক্রন্ত হয়েছে কি না। আর কিভাবে এ সমস্যা ঠিক করা যায় তা নিয়ে কাজ করতে।
ফক্স নিউজের তথ্য মতে, এ মুহূর্তে গুগলের লক্ষ্য এ সচেতনতামূলক প্রচারণায় তাদের প্রভাব বিস্তার করা। যেসব কমপিউটার এরই মধ্যে ভাইরাসে আক্রন্ত হবে। আগামী ৯ জুলাইয়ের পর সেগুলো ইন্টারনেট সংযোগ সামর্থ্য হারাবে।
ব্যবহারকারীদের তৎপর করতে বিশেষ মেসেজ গুগলের ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কমপিউটার ব্যবহারকারীরা গুগলের অনুসন্ধান পৃষ্ঠার ওপরের দিকে এ বার্তা দেখতে পারবেন।
গুগলের নিরাপত্তা প্রকৌশলী ড্যামিয়ান মেন্সার প্রতিষ্ঠানের ব্লগে জানিয়েছেন, নির্ভরযোগ্য এ সাইটে সরাসরি বার্তা পাঠানোর ফলে আক্রান্ত ব্যবহারকারীরা তাদের সুবিধাজনক সংস্করণে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য ফলাফল পাবে।
যদিও অধিকাংশ ডিভাইস ক্রুটিমুক্ত। এ পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে অপচর্চার বিরুদ্ধে। যাতে ভবিষ্যত ইন্টারনেটনির্ভর পণ্যগুলোকে আরও বেশি সুরক্ষিত রাখা যায়।
এ প্রচারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমস্যার স্বীকার হওয়া বেশিরভাগ ব্যবহারকারী কখনও জানতে পারে না তাদের কমপিউটার আক্রন্ত হয়েছে কি না। যদিও অসৎ উদ্দেশ্যের সফটওয়্যার সম্ভবত তাদের ওয়েবপৃষ্ঠায় ধীরগতিতে ছড়ায়। এতে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের ক্ষমতা নষ্ট করে। এ ছাড়া অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমগুলো কমপিউটারকে আরও সুরক্ষিত করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময় ১৬২৬ ঘন্টা, মে ২৯, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর