ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এগোচ্ছে জনতা টেকনোলজি পার্ক

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১২
এগোচ্ছে জনতা টেকনোলজি পার্ক

অবশেষে কাওরান বাজারে অবস্থিত জনতা টাওয়ার ভবনে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (এসটিপি) বিনির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ দরপত্র প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন শেষে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান টেকনোপার্ক বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি সই হয়।



এতে দুটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা চুক্তি সই করেন। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ভবনে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন।

এ উদ্দেশ্যে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের তিনটি সংগঠনের উদ্যোগে স‍াংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টেকনোপার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আলী। আরও ছিলেন বাংলদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি ফয়েজউল্লাহ খান, আইএসবি অসোসিয়েশনের সভাপতি আক্তারুজ্জামান মঞ্জু এবং বেসিস সভাপতি মাহবুব জামান।

এতে ছিলেন টেকনোপার্কের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান এবং তাদের বিনিয়োগ সহযোগী যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গ্রীণফিল্ড ডেভেলপারের চেয়ারম্যান এনামুল হক। তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার এবং মুনির হাসান এ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

শওকত আলি জানান, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে টেকনোপার্ক আগামী ছয় মাসের মধ্যে জনতা টাওয়ার ভবনকে একটি এসটিপিতে পরিণত করবেন। এ জন্য ভবনে একাধিক ইন্টারনেট সংযোগ, ৩ হাজার কেভিএ ক্ষমতার জেনারেটর স্থাপন করা হবে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে এসটিপি উপযোগী করে সজ্জিত করা হবে। স্থাপন করা হবে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক। এখানে প্রাথমিক বরাদ্দ হওয়ার পর পরই কাজ শুরু করতে পারবেন।

এসটিপি বিনির্মানে চীন ও ভারতের দুটি প্রতিষ্ঠান টেকনোপার্ককে প্রয়োজনীয় কারিড়রি সহায়তা দেবে। বিনিয়োগ এবং উপযোগীকরণের কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর থেকে টেকনোপার্ক ভবন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে।

হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা জব্বার জানান, হাইটেকপার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত একটি কমিটি এ পার্কে বরাদ্দ দেবে। এ কমিটি সরকারি, একাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিত্ব থাকবে বলেও তিনি জানান। কোনো অবস্থানে আইটি শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, এমন প্রতিষ্ঠানকে এ ভবনে বরাদ্দ দেওয়া হবে না।

টোকনেপার্ক কর্তৃপক্ষ আগামী ২০ বছর এ পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ করবে। পার্কে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কিছু সাধারণ সুবিধাদিও থাকবে। এর মধ্যে আছে সম্মেলন কক্ষ, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা। টেকনোপার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এখানে এমন একটি ব্যবস্থা থাকবে যার সুবিধা নতুনরা গ্রহণ করতে পারবে। এ ব্যবস্থার অধীনে নতুন আইটি প্রতিষ্ঠান স্বল্পতম সময়ের জন্য জায়গা ভাড়া করতে পারবেন।

টেকনোপার্কের বিনিয়োগ সহযোগী গ্রীণফিল্ড ডেভেলপারের চেয়ারম্যান এনামুল হক জানান, টেকনোপার্কের পক্ষ থেকে তরুণ উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানকে স্বল্পতম সময়ের জন্য বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করা হবে।

২০১০ সালের ৩ আগস্ট ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রী জনতা টাওয়ারে একটি এসটিপি স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।

বাংলাদেশ সময় ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।