ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

২০১১: ই-বুক কাটতির শীর্ষে

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১২
২০১১: ই-বুক কাটতির শীর্ষে

ই-বুকের কাটতি এখন বেশ ভালো। ২০১১ সালে ই-বুকে বিক্রির পরিমান ২০৭ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশনা শিল্প সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

অ্যাসোসিয়েমন অব আমেরিকান পাবলিসার্স অ্যান্ড দ্য বুক ইন্ড্রাস্ট্রির গবেষণা সূত্র জানিয়েছে, ২০১০ সালে ই-বুক বিক্রির পরিমাণ ছিল ৮৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার। প্রকাশনা শিল্পে এখনও ই-বুক পিছিয়েই আছে। তবে এ খাতে দারুণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

অল্প পরিসরে গোছানো হাজারো বইয়ের কাজটি আজ অনায়াশেই সহজবোধ্য করে তুলেছে ই-বুক। তবে গতানুগতিক মলাটে প্রকাশনা থেকে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে আছে ই-বুক।
পাবলিশার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড মোলেট জানান, একদিকে কমেছে কাগুজে বইয়ের বিক্রি। ঠিক তার বিপরীতে রেড়েছে ই-বুক এবং ডিজিটাল প্রকাশনার কাটতি এবং কদর।

ব্রিটিশ পাঠকদের কাছে মলাটে বইয়ের তুলনায় ই-বুকের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। এরই মধ্যে গত তিন বছরে এ সংখ্যা ৫০ ভাগ অতিক্রম করেছে। আগামী সময়েও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ফলে প্রকাশনা শিল্পের নতুন সংস্কৃতির চাপে পড়েছে বিশ্বের খ্যাতনামা সব প্রকাশনা সংস্থাও।

এ ছাড়াও বিদেশে মহাসড়কের পাশে বইয়ের দোকানগুলোতে দারুণ কাটতি ছিল। কিন্তু ক্রমেই এ চাহিদা কমতে শুরু করেছে। ২০০৬ সাল থেকে গত ৬ বছরে মহাসড়কের (স্ট্রিট বুক স্টোর) পাশের বই বিক্রির ২ হাজার দোকান তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে।

ফলে ক্রমেই কাগুজে বই এবং প্রকাশনা ডিজিটাল ই-বুকের কাছে ধরাশায়ী হচ্ছে। গত এক বছরে ডিজিটাল কনটেন্ট খাতে ৫৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্ট বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞেরা।

বাংলাদেশ সময় ২০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।