বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর ‘বাংলালিংক’ বিশ্বের এক নম্বর মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডর ‘কোমভিভা’র সঙ্গে চুক্তি করেছে।
গ্রাহকদের কাছে ‘মোবাইল ওয়ালেট’ (এমওয়ালেট) সুবিধা পৌঁছে দিতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এই চুক্তি করেছে বাংলালিংক।
মোবাইলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে আর্থিক লেনদেনের এই সুবিধা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম চালু করছে বাংলালিংক।
বুধবার এই চুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়।
দিল্লি কমভিভার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমভিভা বাংলালিংক গ্রাহকদের কাছে মোবাইল ওয়ালেট সুবিধা পৌঁছে দেবে। এই সুবিধার অধীনে মোবাইলের মাধ্যমে গ্রাহকরা দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক লেনদেন, কেনাকাটা ও টিকিট সংগ্রহের সুবিধা পাবে।
এই ওয়ালেট সুবিধার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের টাকা নিরাপদে জমা রাখতে পারবেন। নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট ও কোড ব্যবহার করে গ্রাহকরা এই টাকা খুব সহজে ও দ্রুত ব্যবহার করতে পারবেন। এতে গ্রাহকরা নগদ টাকা কিংবা কার্ডের ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকবেন।
কমভিভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মনোরঞ্জন মহাপাত্র বলেন, ‘গ্রাহকদের সমৃদ্ধি ও সুবিধার জন্য উত্থানশীল বিশ্ববাজারের লেনদেনে নতুন মাত্রা যোগ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সুবিধা পৃথিবীব্যাপী গ্রাহকরা ভোগ করছেন। বাংলালিংকের সঙ্গে এই চুক্তি করতে পেরে আমরা খুবই উদ্দীপ্ত। কারণ আমরা এই সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। ’
বাংলালিংকের মার্কেটিং ডিরেক্টর শিহাব আহমেদ বলেন, ‘গ্রাহকদের চাহিদা ও সুবিধার জন্য উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা দিতে বাংলালিংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য কমভিভার সঙ্গে এই চুক্তি তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এই চুক্তির ফলে যে গ্রাহকদের ব্যাংক অ্যাকাইন্ট নেই বা যারা ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করেন না তারাসহ স্বল্প আয়ের নাগরিকরা উপকৃত হবেন। মোবাইলভিত্তিক সেবার মাধ্যমে বিশেষ করে আর্থিক লেনদেন সুবিধা সৃষ্টি করে সাধারণের জীবনমানের উন্নয়নে সহায়তার ক্ষেত্রে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ’
মোবাইল ওয়ালেট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলালিংক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা। দেশব্যাপী বাংলালিংকের এক হাজার বিক্রয়কেন্দ্রে এরই মধ্যে এই সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
কমভিভা বিশ্বের ৮৫টি দেশে সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১০