ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সহিংসতা ছড়াচ্ছে ফেসবুকে: ভারত

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১২
সহিংসতা ছড়াচ্ছে ফেসবুকে: ভারত

সামাজিক সাইটগুলোর জনপ্রিয়তার সঙ্গে সমালোচনারও কমতি নেই। আর এসব অভিযোগের পেছনে আইনগত এবং সামাজিক যুক্তিও আছে।

এ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ভারত সরকার। দেশটির সরকার সহিংসতা ছড়ায় এমন তথ্য এবং ছবি প্রদর্শনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।

এ নির্দেশের ফলে ভারতে নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে আবারও কঠিন পরীক্ষায় পড়েছে ফেসবুক। যেকোনো ঘটনায় ফেসবুক ভোক্তারা যেভাবে প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে তাতে সরকারের পক্ষে অনেক ক্ষেত্রেই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এমনকি কিছু কিছু মন্তব্য এবং ছবির কারণে সামাজিক সহিংসতাও ছড়িয়ে পড়ছে বলে ভারত সরকারের কাছে সুনিদিষ্ঠ প্রমাণ আছে। অর্থাৎ ছবি এবং মন্তব্য প্রদানে ভারতের ফেসবুক ভোক্তাদের বেশ কিছু নীতিমালা মেনে চলতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে ভারত সরকার।

সক্রিয় কোনো কঠিন নীতিমালা না থাকায় ফেসবুকের যথেচ্ছা অপব্যবহার শুরু হয়েছে। এ নিয়ে ব্যক্তি, সামাজিক, রাজনৈতিক এমনকি রাষ্টীয় পর্যায়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হচ্ছে। সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে ফেসবুকের যা-ইচ্ছা তাই লেখার চর্চা।

এর আগে রাষ্ট্রীয় নীতিতে তথ্য অধিকার আইনের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে তথ্য বিনিময়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে তথ্য এবং মন্তব্য বিনিময়ে ভোক্তা এবং ফেসবুককে সতর্ক দিয়েছে দেশটির আইনি মহল।

এ মুহূর্তে সামাজিক এবং রাজনৈতিক সহিংসতা ছড়াতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রভাব রাখছে ফেসবুক। এ বিষয়ে সুনির্ধারিত তথ্য-প্রমাণ ভারত সরকারের কাছে। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে ফেসবুকের স্পর্শকাতর তথ্য বিনিময় প্রসঙ্গে পিটিআই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি শুধু প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রতিটি গ্রাহকই তার বিতর্কিত তথ্য ফেসবুক থেকে তুলে নিতে পারেন। এ ব্যবস্থা ফেসবুকে দেওয়া আছে। চাইলে এসব তথ্য (কনটেন্ট) নিয়ন্ত্রণ এবং মুছে ফেলা সম্ভব।

ভারতে সৃষ্ট এ পরিস্থিতির সদুত্তরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনার কারণে ফেসবুকের তাৎক্ষণিক মন্তব্যের কারণে ভারতে নানা ধরনের সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই ফেসবুক ভারতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয় বলেও জানানো হয়।

এ মুহূর্তে ভারতে ৫ কোটি সক্রিয় ফেসবুক ভোক্তা আছে। এদের সবাইকে অভ্যন্তরীণ বার্তার মাধ্যমে তথ্য, ছবি এবং ভিডিওচিত্রে রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর এবং সামাজিক সহিংসতা ছড়ায় এমন বার্তা বিনিময় থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে ভারত সরকার। তবে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রাতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যক্তি উদ্যোগেরও যথেষ্ট প্রয়োজন আছে বলে বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন।

বাংলাদেশ সময় ১৮১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।