ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আয়নায় নিজেকে চিনবে রোবট

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১২
আয়নায় নিজেকে চিনবে রোবট

বিজ্ঞানীদের সেরা আবিষ্কারের কথা বললে আসে রোবটের নাম, কিনা করা অসম্ভব এই রোবটের পক্ষে। ইয়েল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা নিকো নামের একটি রোবট তৈরি করেছে যা কিনা আয়নার সামনে দাড়িয়ে চিন্তা চেতনার মাধ্যমে নিজের চেহারা শনাক্ত করতে পারবে।

তবে ‘সেল্ফ-এওয়ারনেস’ বৈশিষ্ট্যের এই রোবটের কাজ এখনো অসমাপ্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। অতি শীঘ্রই অভিনব এই সৃষ্টির পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী তারা।

নিকোর কার্যকলাপ সম্পর্কে জানানো হয়েছে- নিকো নিজে চিন্তা ভাবনা করে চুড়ান্ত মতামত উপস্থাপন করবে। এটি আয়নার মাধ্যমে চারদিকের জিনিস সম্পর্কে স্পষ্টভাবে মন্তব্য করতে পারবে ঠিক মানুষের মত যেমন দেখার কাজে গাড়িতে পেছনের দিকে আয়নার ব্যবহার হয়।

এখন পর্যন্ত এই রোবটের শুধু বাহুর পোগ্রাম শেষ হয়েছে। কিন্তু মি. হার্ট চাইছে ‘ফুল মিরর টেস্ট, সম্পূর্ণরুপে বাস্তবায়ন করতে। উল্লেখ্য ১৯৭০ সালে প্রথমত এই মিরর টেস্ট শুরু হয়েছিল বর্তমানে এটি উন্নতমানের পরীক্ষায় নেওয়া হচ্ছে।  
সাধারণত জীবজন্তুরা আয়নার সম্মুখে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া করে|আজ পর্যন্ত শুধুমাত্র কিছু প্রজাতিকে এসব পরীক্ষায় নেওয়া হয়েছে যার মধ্যে আছে স্তন্যপায়ী, হাতি এবং ডলফিন। তবে মানব শিশু যাদের বয়স ১৮ মাসের মধ্যে তারা প্রতিক্রিয়া করতে পারেনা।

এসব প্রাণীদের আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবির প্রতি প্রতিক্রিয়াগুলি যা তাদের আত্ন-বোধশক্তি মূল্যায়নে কাজে লাগানো হয়।

এদিকে বিজ্ঞানীরা পর্যায়ক্রমে অনুরুপ এই পরীক্ষা চালাচ্ছে রোবটের নিজস্ব চিন্তাভাবনার বিশ্লেষণে। কিন্তু রোবট তার প্রতিচ্ছবি হতে এখনো পুরোভাবে নিজেকে চিনতে পারেনা। মি. হার্ট বলেন এই পোগ্রামে চলনশীলতার চেয়ে উপস্থাপনের দিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

গত ২০০৭ সালে গবেষণায় দেখা গেছে নির্দিষ্ট পিক্সেলের মাধ্যমে রোবট নিজের এবং অন্যের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম হয়। পরের গবেষণায় দেখা যায় একটি রোবট কিভাবে আয়নায় অন্য রোবটের এবং নিজের কাজকর্ম অনুকরণ করে।

অতি সম্প্রতি কিউবো নামের রোবটের পোগ্রাম করা হয়েছে অন্যান্য ছবি এবং নিজের ছবি বিচার করার কাজে। কিউবোকে প্রশ্ন করলে কিছটুা সময় নিয়ে এর উত্তর দেয়।

পিএইচডি স্টুডেন্ট মি. হার্ট এই প্রকল্পের পরিচালনা করছে এবং এর তত্ত্বাবধায়নে আছে ব্রায়ান স্ক্যাসেলাটি। তিনি বলেন এটা বিশাল এক উদ্যোগ তবুও কৃত্তিম ধী-শক্তির অবসান এখানেই শেষ নয়। তারা জানিয়েছে গবেষণার চুড়ান্ত তথ্য প্রকাশ পাবে এই বসন্তে।

বাংলাদেশ সময় ১৫৩৩ ঘন্টা, আগস্ট ২৮, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।