এবার ‘মন্থন অ্যাওয়ার্ড সাউথ এশিয়া ও এশিয়া পেসিফিক’ এর জন্য এ বছর ৩৫টি দেশ থেকে মনোনয়নপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক আইসিটিভিত্তিক উদ্ভাবন বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে এটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।
আগ্রহীরা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১. ই-বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ, ২. ই-কমিউন্টি ব্রডকাস্টিং, ৩. ই-কালচার অ্যান্ড হেরিটেজ, ৪ .ই-এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং, ৫. ই-এ্যাগ্রিকালচার, ৬. ই-এনভায়রনমেন্ট, ৭. ই-গভর্নমেন্ট, ৮. ই-হেলথ, ৯. ই-ইনক্লুশন, ১০. ই-ইনফাস্ট্রাকচার, ১১. ই-লকালাইজেশন, ১২. ই-নিউজ অ্যান্ড মিডিয়া, ১৩. ই-এন্টারটাইনমেন্ট অ্যান্ড গেমস, ১৪. ই-ট্রাভল অ্যান্ড ট্যুরিজম, ১৫. ই-সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ১৬. ই-ফিন্যান্সিয়্যাল ইনক্লুশন অ্যান্ড লাইভলিহুড।
এসবের যেকোনো বিভাগে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এজন্য (www.manthanaward.org) এ ঠিকানায় নিবন্ধিত হতে হবে। তবে মনোনয়নের জন্য অনলাইন নমিনেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
গত বছর মন্থন অ্যাওয়ার্ড সাউথ এশিয়া(২০১১) পর্বে ৭টি দেশ থেকে মোট ৪৮১টি মনোনয়ন জমা হয়। এর মধ্যে থেকে ৩৮টি প্রকল্প বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ী হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের ১১টি প্রকল্প ছিল।
ভারতে মন্থন অ্যাওয়ার্ড এ ধরনের প্রথম উদ্যোগ। যা সেরা ই-কন্টেন্ট ও ক্রিয়েটিভিটিকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এ উদ্যোগ ২০০৪ সালে শুরু হয়। ডিজিটাল এম্পাওয়ারমেন্ট ফাউন্ডেশন মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ডের সহযোগিতা এবং ডিপার্টমেন্ট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, গভ অভ ইন্ডিয়া এবং অন্য স্টেকহোল্ডার যেমন সিভিল সোসাইটি মেম্বার, মিডিয়া এবং এমন প্রতিষ্ঠান যারা দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে ডিজিটাল কন্টেন্ট নিয়ে পুরো দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে কাজ করেন। ২০১২ সালে এ ধারণাটি সম্প্রসারিত হয়ে দক্ষিণ এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিকের ৩৬টি দেশ অর্ন্তভুক্ত হয়।
ডি.নেট মন্থন অ্যাওয়ার্ড সাউথ এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিকের স্থানীয় সহযোগী। ডি.নেট সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ২০০১ সালের জানুয়ারিতে স্থাপিত হয়।
সব নাগরিকের ক্ষমতায়নে ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে ‘তথ্য এবং জ্ঞানের জগতে প্রবেশাধিকার’ নিশ্চিত করাই এ প্রতিযোগিতা লক্ষ্য। সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমের সৃজনশীল প্রয়োগকে কাজে লাগিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিতে ডি.নেট দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময় ১৭২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর