ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘দেশকে বহিঃবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ডাটা সেন্টার জ্বালিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৪
‘দেশকে বহিঃবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ডাটা সেন্টার জ্বালিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা’ মোহাম্মদ আলী আরাফাত

ঢাকা: বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা দেশের কেন্দ্রীয় ডাটা সেন্টার জ্বালিয়ে দিয়েছে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন থেকে সুবিধা নেওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সারা বিশ্ব থেকে দেশকে বিচ্ছিন্ন করতেই তারা (বিএনপি-জামায়াত) এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) অন্য তিন মন্ত্রীর সঙ্গে সম্মেলনকালে বলেন, ‘ইন্টারনেট না থাকায়, আমরা সমস্যায় পড়েছি। আমরা দেশের বাইরে কোথাও যোগাযোগ করতে পারছি না। এ অবস্থা বিদেশে তাদের গুজব সিন্ডিকেটকে গুজব প্রচারণাকে জোরদার করতে সহায়তা করবে। ’

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্বৃত্তরা শিক্ষার্থীদের কার্যত ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে, যার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে।

এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরীও ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র জানতো যে, তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সারা দেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে পারলে, বিদেশে অপতথ্য পাঠানো সম্ভব হবে, যা বিশ্ব গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হবে এবং একপাক্ষিক মিথ্যা তথ্য পৌঁছে দেবে।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সন্ত্রাসীদের চালানো হামলার খবর প্রকাশ করা হয়নি, সরকার শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছে, যা ইতোমধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে।

বিশ্বের কাছে অপতথ্যের বিরুদ্ধে সত্য তথ্য তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সরকার ইন্টারনেট চালু করার চেষ্টা করছে। আপনাদের বিশ্বকে জানানো উচিত বাস্তবিক পক্ষে বাংলাদেশে কী ঘটেছে।

ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চালানো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে আরাফাত বলেন, আপনারা দেখেছেন যে সন্ত্রাসী, হামলাকারী, জঙ্গি, বিএনপি ও জামায়াত-শিবির শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালায়। তারা বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), সেতু ভবন, ডাটা সেন্টার ও টোল প্লাজাসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালায়।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যখন আক্রান্ত হন, তখন নিজেকে রক্ষা করা আপনার অধিকার। যখন আমরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করলাম, তখন সংঘাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। কাজেই, হামলাকারীরাই হতাহতের জন্য দায়ী। ’

হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও শোক জানিয়ে তিনি বলেন বলেন, এটা আমাদের পরিষ্কার বার্তা যে, হতাহতের জন্য যারাই দায়ী হোক না কেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।