লিনাক্সের ডিস্ট্রিবিউশনগুলোর মধ্যে বিখ্যাত গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সমৃদ্ধ লিনাক্স ম্যানড্রিভা সম্পর্কে এ পর্বে আলোচনা করা হবে।
ম্যানড্রিভা লিনাক্সের পূর্ব নাম ছিল লিনাক্স ম্যানড্রেক।
লিনাক্স ওপেন সোর্স এবং ভালো অপারেটিং সিস্টেম হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ পিসি ইউজাররা তা ব্যবহার করতে উৎসাহ পেতেন না। কারণ লিনাক্স ইউজার ফ্রেন্ডলি নয়। এর ইন্সটলেশন থেকে শুরু করে সবই ঝামেলার এবং সময়সাপেক্ষ।
এমন বদনাম দূর করতেই লিনাক্স নিয়ে এলো পুরোপুরি গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসসহ ইউজার ফ্রেন্ডলি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম। লিনাক্স ম্যানড্রেক ডিস্ট্রিবিউশনটি তৈরি করা হয়েছে অনেক ভাষায়। এতে যেসব গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো কেডিই, জিনোম, আফটার স্টেপ, উইন্ডো মেকার এবং আইস ডব্লিউ এম।
এ ইন্টারফেইসগুলো বারবার ইনষ্টল করতে হয় না। একবার অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দিলেই একসঙ্গে সব পাওয়া যায়। যারা একটি মাত্র ডেস্কটপ ব্যবহারে একঘেয়ে হয়ে গেছেন তার এখান থেকে পেতে পারেন ভিন্ন স্বাদ।
এ মুহূর্তে বাজারে ম্যানড্রিভা লিনাক্সের অনেকগুলো ভার্সন আছে। সর্বশেষ ম্যানড্রিভা লিনাক্সের হাইড্রোজেন ভার্সনটি এসেছে ২০১১ সালে। এ অপারেটিং সিস্টেমের অনেকগুলো এডিশন আছে। ম্যানড্রিভা লিনাক্স ফ্রি, ম্যানড্রিভা লিনাক্স ওয়ান, ম্যনড্রিভা লিনাক্স পাওয়ারপ্যাক, ম্যানড্রিভা লিনাক্স ডিসকভারী ও ম্যানড্রিভা লিনাক্স পাওয়ারপ্যাক প্লাস ইত্যাদি।
একেক এডিশনের আছে একেকরকম চমকপ্রদ সুবিধা। যারা নতুন তারা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম শেখার জন্য ম্যনড্রিভা লিনাক্স ওয়ান এডিশনটি ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনি সিডিতে করে ব্যবহার করতে পারবেন কোনোরকম আগাম ইন্সটলেশন ছাড়াই।
যাদের কম্পিউটারেরর কোনো নির্দিষ্ট দক্ষতার প্রয়োজন নেই। নতুন ব্যবহারকারীরা এ ডিস্ট্রিবিউশনটি ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও যারা অপারেটিং সিস্টেম ইনষ্টল বা কনফিগার করতে অতিরিক্ত সময় বা শ্রম দিতে চান না তারাও এটি ব্যবহার করতে পারেন।
কারণ লিনাক্স ম্যানড্রিভা ইন্সটল খুবই সহজ। এ ছাড়াও করপোরেট ইউজারদের জন্যও লিনাক্স ম্যানন্ড্রিভা বেশ উপযোগী। পরের পর্বে থাকছে মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্সের অন্য ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। এ বিষয়ে জানতে নিয়মিত চোখ রাখুন বাংলানিউজের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে।
বাংলাদেশ সময় ১৫১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১২
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর