ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

টেকসিটিকে অব্যাহতিসহ ১০ দফা দাবি বিনিয়োগকারীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
টেকসিটিকে অব্যাহতিসহ ১০ দফা দাবি বিনিয়োগকারীদের

যশোর: অবিলম্বে যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থেকে টেকসিটিকে অব্যাহতি, তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করে জনসমক্ষে প্রকাশসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন পার্কটির বিনিয়োগকারীরা।  

সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়ে এই দাবি জানান তারা।

 

যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর যশোরে দেশের প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনের অল্প কয়েক দিনের মাথায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ওয়াহেদ শরীফের কোম্পানি টেকসিটি বাংলাদেশ লিমিটেডকে পার্কটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়।  

তাদের সঙ্গে ‘গণবিরোধী চুক্তির’ মাধ্যমে এই কাজটি করা হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পার্ক থেকে আহরিত রাজস্বের ৮২ শতাংশ পাবে টেকসিটি, যাদের এখানে কোনো বিনিয়োগ নেই।  

আর জনগণের ট্যাক্স ও বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকায় নির্মিত প্রকল্পের রাজস্ব আয়ের মাত্র ১৮ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ সরকার। টেকসিটির দুর্নীতি, অনিয়ম-অব্যবস্থাপনাও ছিল ওপেন সিক্রেট।  

আরও বলা হয়েছে, গণবিরোধী এই চুক্তি বাতিলের দাবিতে স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন। এই বিষয়ে গণমাধ্যমে বহু রিপোর্টও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্তান ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু পরিচয়ধারী ওয়াহেদ শরীফের দৌরাত্ম্য এতো বেশি ছিল যে, টেকসিটিকে হটানোর সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের জয় হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা শেখ হাসিনা পার্কে চড়াও হয়। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা পার্কটি থেকে শেখ হাসিনার নাম বাদ দেওয়া, ওয়াহেদ শরীফের কোম্পানির হাত থেকে সরকারি পার্কটিকে অবমুক্ত করা, তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধান করা, বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আদায়যোগ্য স্পেস রেন্ট, সার্ভিস চার্জ ও বিদ্যুৎ বিল বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের অ্যাকাউন্টে গ্রহণ, যশোরের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ স্পেস রেন্ট নির্ধারণ, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করে যৌক্তিক বিল দেওয়া ও আগে ইস্যু করা ভৌতিক বিল প্রত্যাহারসহ নানা দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলেন।

স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উপস্থিতিতে গত ২৮ আগস্ট তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা হয়।  

সেই সভায় যশোরের ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, যশোর’ নামকরণ এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টেকসিটির সম্পাদিত গণবিরোধী চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
ইউজি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।